গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ থাইল্যান্ড থেকে দেশে আসে। বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা তার লাশ গ্রহণ করে। এরপর তার মরদেহ সরাসরি নিয়ে যাওয়া হবে গুলশানের বাসভবনে। সেখানে রাত ৯টা পর্যন্ত লাশ রাখা হবে। এরপর তার লাশ রাখা হবে সিএমএইচ এর হিমাগারে। তার মৃত্যুর কারণে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান আপাতত বাতিল করা হয়েছে।
একজন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মানুষ হিসেবেও ছিলেন সফল নেতা হিসেবেও সফল। কিশোরগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই নেতা কোনোদিন তিনি তার নির্বাচনী আসন থেকে পরাজিত হননি। পর পর ৫ বার তিনি কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন। তিনি দেশের অনেকগুলো গুরত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেছেন। ২০০৬ সালের পর খারাপ সময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন তিনি। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অবসান ঘটার মাধ্যমে দেশ হারালো একজন গুণী মানুষকে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের বামরুগ্রাদ হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টা ১০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বহুদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। অসুস্থতার জন্য তিনি নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে শপথ কিছুতেই অংশ নিতে পারেননি। শপথ না গ্রহণ করেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বরেণ্য এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন জাতীয় চার নেতার একজন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। দেশকে স্বাধীন করেছেন। পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি ছিলেন বরাবরই সফল। মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অনেক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন। তার মৃত্যুতে সারাদেশে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।