একাদশ জাতীয় সংসদ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। শুরু হয়েছে সরকার গঠন প্রক্রিয়াও। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোট জয়লাভের পর সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে সরকার গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলো। এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ ছিল নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ। যা বৃহস্পতিবার ভালোভাবেই হয়ে গেছে। দশম সংসদ ভাঙার আগে কীভাবে নির্বাচিতরা শপথ পাঠ করবেন-এই বিষয়ের বৈধতা নিয়ে যদিও অনেকে প্রশ্ন করেছিলেন। অবশেষে এর বৈধতা প্রমাণ করেই শপথ পাঠ করেছেন নির্বাচিত প্রার্থীরা। এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে মন্ত্রিসভা। কারা পাচ্ছেন মন্ত্রিত্ব। কার গাড়িতে উড়বে জাতীয় পতাকা।
সরকারি দলের একাধিক নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ একাধিক মন্ত্রী তাদের আগের দপ্তরেই বহাল থাকবেন। এবারের মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিতে পারেন একাধিক তরুণ। যার মধ্যে মাশরাফি বিন মুর্তজা, জুনায়েদ আহমেদ পলকের মতো তরুণদের নাম রয়েছে সবার আগে। তবে সবচেয়ে আলোচনায় আছে অর্থমন্ত্রীর পদটি। আসন্ন মন্ত্রিসভায় কে হবেন অর্থমন্ত্রী, এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। যদিও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত মঙ্গলবার বলেছেন প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি আরও এক বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে চান। তবে মন্ত্রীসভা বাড়তে পারে বলে কিছুটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বাদ পড়তে যাচ্ছেন কয়েকজন মন্ত্রী। শুধুমাত্র বিভিন্ন কারণে সমালোচিত হওয়ারাই বাদ পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পরিবর্তে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নতুন মুখ দেখা যাবে এবার। গত ৫ বছরের মূল্যায়নে যাদের পারফরম্যান্স খারাপ, তারা সবাই বাদ পড়বেন। নবম সংসদের মন্ত্রিসভার যেসব মন্ত্রী দশম সংসদের মন্ত্রিসভায় বাদ পড়েছিলেন তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনাও কম। তবে পদোন্নতি হতে পারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু একই দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন বলে জোর ধারণা করা হচ্ছে। তবে সব জল্পনা কল্পনা অবসান হবে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই। এখন আসল বিষয় হচ্ছে কার গাড়িতে উঠবে জাতীয় পতাকা??