৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু তার আগেই ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে আগাম অভিযোগপত্র প্রস্তুত করে রেখেছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা দল বিএনপি। কেবলমাত্র অভিযোগকারীর নাম এবং স্বাক্ষর দিয়ে দ্রুত যেন জমা দেয়া যায় এমন ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে সেসব অভিযোগপত্রে।
২৮ ডিসেম্বর দুপুরে লক্ষ্মীপুরের কলমনগর মেঘনা সিনেমা হল এলাকা থেকে এমন সব অভিযোগপত্রসহ রিয়াজ উদ্দিন ও অন্তু চন্দ্র দাস নামে দুইজনকে আটক করে বিজিবি। নোয়াখালী-৫ আসনে ভোট কেন্দ্রে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে রিটার্নিং অফিসার বরাবর ছাপা হয়েছে এসব অভিযোগপত্র।
আগাম ছাপানো অভিযোগপত্রগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, নৌকা প্রতীকের সমর্থনকারীরা হামলা চালিয়ে ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করছে। স্বাক্ষরকারীর জায়গায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী-৫ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নাম রয়েছে।
আটক দুইজন নিজেদের বিকাশ এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দেয় বলে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে। তাদের কাছ থেকে নগদ প্রায় ৩৬ লাখ টাকাও উদ্ধার করে বাহিনীর সদস্যরা। পরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে এমনিতেই সমালোচিত। এবার এই ঘটনা সেই সমালোচনায় ভিন্নমাত্রা দিলো।
এ প্রসঙ্গে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, বিএনপি যে অভিযোগের বাক্সে পরিণত হয়েছে তা এই ঘটনা থেকে আরও স্পষ্ট হলো। এরমাধ্যমে এও স্পষ্ট হলো যে, ফলাফল বিএনপির অনুকূলে না গেলে তারা অভিযোগ করবে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। যারা ঘটনা ঘটার আগেই অভিযোগপত্র তৈরি করে রাখে তারা নির্বাচনের পর যে ভোট সুষ্ঠু হয়নি বলে গলা ফাটাবে তাতো বোঝাই যাচ্ছে। অতএব এমন তৎপরতা বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ।