দেখতে দেখতে নির্বাচনী প্রচারণার সময়ও এখন শেষের পথে। প্রার্থীরা সেরে নিচ্ছে এখন শেষ মুহূর্তের প্রচারণার কাজ। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রার্থীরা জানাচ্ছে নির্বাচনী ইশতেহার। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে উন্নয়নের। নির্বাচনের আগে যতই প্রতিশ্রুতি দিক না কেন, দেশের জনগণ যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নিবে তাদের কান্ডারী হিসেবে।
প্রচারণার এই দৌড়ে রয়েছে দেশের সব কয়টি রাজনৈতিক দল। কিন্তু কারো জনপ্রিয়তা বেশি আবার কারো একটু কম। তবুও তারা যে যার সাধ্য মতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। নির্বাচনের মনোনয়নপত্র নেয়া থেকে শুরু করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণ অর্থের। দেশের পঙ্গু রাজনৈতিক দল বিএনপিও চলছে এই নির্বাচনী প্রচারণায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপি কীভাবে চলছে এই নির্বাচনী দৌড়ে?
নানা রকম দুর্নীতি, অপরাজনীতির ফলে কোমড় ভেঙে গিয়েছিল বিএনপির। তাও পঙ্গু অবস্থায় দলকে চালিয়ে নিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা। কিন্তু তিনি লোভ বেশি দিন সামলে রাখতে পারেননি। এতিমের টাকা নিজের করে নিয়েছেন তিনি। এছাড়াও নিজের ভ্যানিটি ব্যাগ পূর্ণ করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টাকা মেরে। কথায় আছে ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’।
ইসলাম ধর্মে খুব কঠোরভাবে লোভকে নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। বেশি লোভ করার ফলে তাকে যেতে হয়েছে কারাগারে। সেই সাথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম ছিল বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাবলী। কারণ একটি দল পরিচালনা করতে প্রয়োজন অনেক অর্থের। সেই অর্থ ছিলোনা বিএনপির। নেতাকর্মীরা সেই সময় ব্যস্ত ছিলেন নিজের আখের গোছানো নিয়ে।
এ সময় বিএনপিকে অর্থ দিয়ে ন্যূনতম পরিচালনার কাজে সাহায্য করেছেন জামায়াতে ইসলাম। খালেদা আটক হওয়ার পর দেশে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের যাবতীয় খরচ দিয়েছে এই জামায়াত।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর এখন দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সাধারণত এই নির্বাচনে খরচের পরিমাণও বেশি। এখানেও এই খরচ দিচ্ছে জামায়াত এবং সেই লন্ডনে পলাতক তারেক। নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য দেশের প্রতিটি অঞ্চলের প্রতিটি প্রার্থীর কাছে অর্থ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। এই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শুধু নির্বাচনের অর্থই পাঠানো হচ্ছে না; পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন হামলার জন্য অর্থ।
অর্থাৎ বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা করার জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীদের হাতে অর্থ পৌঁছে যাচ্ছে এই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। এমনকি ভোট কেন্দ্র দখলের জন্যও টাকা পাঠানো হচ্ছে এই মাধ্যমে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি টাকা পৌঁছে যায়, হামলা সংঘটিতও হয় ঠিক ততটা নিরূপণভাবে। এই হলো বিএনপির অর্থের হালচাল। এজন্যই জামায়াত বিএনপির প্রধান অর্থ যোগানদাতা। তাই শত সমালোচনার পরও জামায়াতের সঙ্গ ছাড়েনি বিএনপি ।