বিএনপিকে খাদের কিনারা থেকে টেনে এনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পেছনে যার অবদান সর্বাধিক, তিনি গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক কামাল হোসেন। কামাল হোসেনের কারণেই বিএনপি ঐক্যফ্রন্টে শামিল হয়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে। অথচ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই কী না রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্যে নির্বাচনের আগে তাকে হত্যা করার ফন্দি আঁটছেন।
সম্প্রতি, গণফোরামের মহাসচিব মোস্তফা মহসিন মিন্টুর সাথে শওকত নামের এক ব্যক্তির ফোনালাপ ফাঁস হয়। ফাঁস হওয়া ফোনালাপে শওকত নামের ওই ব্যক্তি মোস্তফা মহসিন মিন্টুকে অতিসত্বর কামাল হোসেনকে কোনো নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। কামাল হোসেনকে বিএনপি নেতারা কখনও নিজেদের দলের কেউ হিসেবে মনে করেনি। তাই নিজেদের রাজনৈতিক আখের গোছাতে এবং বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্যে তারা নির্বাচনের আগেই কামাল হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। ইতোমধ্যে কামাল হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুবাই থেকে সাতজন পাকিস্তানি ভাড়াটে খুনী বাংলাদেশে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানান তিনি ।
লন্ডন থেকে তারেক রহমানের এক বিশ্বস্ত সূত্রের নিকট থেকে তিনি এসব কথা জানতে পারেন বলেও জানান শওকত নামের ওই ব্যক্তি ।
এ ফোনালাপ ফাঁসের ব্যপারটি জানার পর কামাল হোসেন অনেকটাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। সঙ্গতকারণেই কামাল হোসেন এসব জানার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মানসিকভাবেও তিনি অনেকটা মুষড়ে পড়েছেন। এ ব্যপারে কামাল হোসেন কিছু বলতে রাজি না হলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক ঘনিষ্ঠজন জানান, তারেকের এরকম দুর্ব্যবহারে কামাল হোসেন অনেকটাই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। কামাল হোসেন এই ঘটনায় অনেক চিন্তিত এবং আতঙ্কিত বলেও জানান কামাল হোসেনের ওই ঘনিষ্ঠজন।
এদিকে আজ দুপুর বারোটার পর কামাল হোসেনের সঙ্গে তার চেম্বারে সাক্ষাৎ করেন পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি আনোয়ার হোসেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক তিনি সেখানে ছিলেন। এ সাক্ষাতে ডিসি আনোয়ার হোসেন কামাল হোসেনের নিরাপত্তার ব্যাপারে তাদের উদ্বিগ্নতার কথা জানান। কামাল হোসেনের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ যেকোনো ব্যবস্থা নিতে রাজি আছে বলেও জানান তিনি।