নির্বাচনী কূটকৌশলে যোগ হয়েছে আরো একটি অধ্যায়। একের পর এক বিভিন্ন পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে বিএনপির। একথা সকলেরই জানা। আর এসকল পরিকল্পনার গোমর ফাঁস করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন দেশের সাংবাদিকেরা।
‘সচেতন লোকেরাই সাংবাদিকতা করেন’ এমন একটি কথা প্রচলিত আছে বিশ্বব্যাপী। সাংবাদিকদেরও তাই রাজনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস, ভূগোল, ক্রীড়াসহ সকল বিষয়ে পারঙ্গম হতে হয়। বিএনপির প্রচারিত বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার কিংবা অশুভ পরিকল্পনার গোমর ফাঁস করতে বরাবরই সচেষ্ট দেশপ্রেমিক সাংবাদিকেরা। তাই এবার সাংবাদিকদের উপর তোপ দাগাতে যাচ্ছে বিএনপি। এর মাধ্যমে তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে বলে জানা যায়।
বিশ্বস্ত সূত্রমতে, সম্প্রতি মির্জা ফখরুল ইস্যুতে সাংবাদিকদের উপর বিএনপির হাইকমান্ড বেশ ক্ষিপ্ত। একটি ভিডিওবার্তায় ফখরুল নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এছাড়াও বিএনপির নানান অপকর্ম ও সন্ত্রাসের বিস্তারিত তুলে ধরতেও পিছপা হচ্ছেন না বাংলাদেশের সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকেরা।
পাশাপাশি নিজেদের জনপ্রিয়তার বেহাল দশায়ও বিব্রত, চিন্তিত দলটি। অতীত অপকর্মের কারণে সারাদেশের অধিকাংশ স্থানেই বিএনপি প্রার্থীরা ভোট চাইতে নামছেন না। যে ক’জন নামছেন, তাদেরকেও জনগণ বিভিন্ন প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করছে। রঙিন স্বপ্ন নিয়ে নির্বাচনে এলেও বাস্তবতা আঁচ করে বিএনপির সে স্বপ্ন এখন একেবারেই ফিকে।
এমতাবস্থায় বিএনপি নির্বাচন থেকে পালানোর সুযোগ খুঁজছে। সে লক্ষ্যে একের পর এক কৌশল হাতে নিলেও জনরোষে তা ব্যর্থ হয়। তাই নতুন পরিকল্পনামাফিক বিএনপি সাংবাদিকদের উপর হামলার ছক সাজিয়েছে, যা ইতোমধ্যে ফাঁস হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে।
ফাঁস হওয়া ছকে দেখা যায়, বিএনপি সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের সপ্তাহখানেক আগে থেকেই সাংবাদিকদের উপর হামলা শুরু করবে। এমনকি নির্বাচনের দিন চালানো হবে বর্বরোচিত হামলা।
ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, এসকল হামলার দায় চাপানো হবে আওয়ামী লীগের উপর। এভাবেই পরিস্থিতি ঘোলাটে করে বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে পলায়নের পথ পরিস্কার করবে।
ফাঁস হওয়া এ ছকের সাথে বিএনপির কর্মকাণ্ডের হুবহু মিল খুঁজে পেয়েছেন বিশ্লেষকেরাও। তারা বলছেন দেশব্যাপী বিএনপির বিগত কিছুদিনের কর্মকাণ্ড এ ছকের সত্যতা প্রমাণ করে। ইতোমধ্যে বিএনপি ক্যাডারেরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে।
জনসাধারণ বলছেন, যারা সত্য জানানোর কর্মী সাংবাদিকদের উপর হামলা করে, তাদেরকে অচিরেই আইনের আওতায় আনা হোক।