অন্যান্য সকল প্রার্থীদের মতো শাহ মোয়াজ্জেমও মাঠে নেমেছেন নির্বাচনী গণসংযোগে। কিন্তু এই গণসংযোগ শেষ পর্যন্ত আর সুষ্ঠুভাবে শেষ হলো না। কারণ নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি লক্ষ্য করেছিল যে বিএনপির থেকে ঐক্যফন্টের প্রচার প্রচারণা বেশি। এই পরিস্থিতিতে হিংসার আগুন জ্বলে ওঠে সিনিয়র বিএনপি নেতা ও তারেক রহমানের মনে। এজন্য তারেক সেই লন্ডন থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। উদ্দেশ্য প্রচারণায় বাধা প্রদান করা। এছাড়াও রয়েছে দলের পূর্ব রেষারেষি, কোন্দল। সব মিলিয়ে এই বাধা রূপান্তরিত হয়েছে হামলাতে।
বিএনপিতে কয়েক যুগ আগের মনোমালিন্যের প্রতিশোধও নিচ্ছে এখন, নির্বাচনী প্রচারণার সময়। কয়েক দিন আগে মেজর আখতারুজ্জামান রক্তাক্ত হয়েছেন। কারণ বহু বছর আগে তিনি তারেকের কোনো বেয়াদবির জন্য বেয়াদব বলে সম্বোধন করেছেন। সেই প্রতিশোধ নিয়েছেন তারেক তার পোষা কুকুরদের দিয়ে।
শাহ মোয়াজ্জেমের কপালে জুটেছিল এরকমই ঘটনা। তিনি তার নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করতে নেমে মারাত্মক আহত হয়েছেন। আর এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপিরই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তার উপর হামলা করার জন্য বহুদিন আগেই নির্দেশ দিয়েছিলো তারেক। কিন্তু সুযোগ হয়নি বলে তারা হামলা করতে পারেনি।
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের গাড়িবহরে হামলা করে পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তার গাড়িবহরে থাকা চারজন সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হন। এলাকাবাসী তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বয়রাগাদি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
তারেক দেশে নেই তাও সে বিভিন্ন স্থানের হামলার জন্য জঘন্য বুদ্ধি আটছে। আর এসব কাজ করিয়ে নিচ্ছে তার পোষা কুকুরদের দিয়ে বিপুল অর্থের বিনিময়ে। সেই মাস্টারমাইন্ড তারেক যদি দেশে থাকতো নির্বাচনের আগে সে রক্তের বন্যা বানিয়ে ফেলতো বলে মনে করছেন অনেকে।