নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার বেশ আগে থেকেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলো। বিভিন্ন আসনে চলতে থাকে জরিপ, নেয়া হতে থাকে কর্মীদের মতামত। তবে নির্বাচন সন্নিকটে আসার সাথে সাথে মনোনয়ন বাণিজ্য ও দেশবিরোধী তৎপরতার অভিযোগও উঠে কোনো কোনো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে।
ইতোমধ্যে দেশের দলগুলো বিদ্যমান আসনগুলোতে তাদের প্রার্থী নির্ধারণ করেছে। জানা যায়, নিবন্ধনবিহীন দল জামায়াতে ইসলামী এবার বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবে। বিএনপি ২৫টি আসনে জামায়াত প্রার্থীর হাতে ইতোমধ্যে ধানের শীষ তুলে দিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলামের হাতে ধানের শীষ চলে আসে। স্থানীয় জনসাধারণ জানাচ্ছেন, নজরুল ইসলাম একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আলমাস মিয়া জানান, গাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন আল বদর বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি সরাসরি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষে অবস্থান নেন এবং বাঙালিদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেন। তার নেতৃত্বে একাধিক হত্যাকাণ্ড হয়। একজন মানবতাবিরোধী অপরাধীকে মনোনয়ন দেয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ, বিস্মিত।
স্থানীয় কলেজছাত্র রিফাত বলেন, ‘নজরুল ইসলামকে এখানকার তরুণ প্রজন্ম রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী হিসেবেই জানে। যুদ্ধাপরাধ ও নাশকতার মামলায় তিনি একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছেন। মনোনয়ন পেলেও তরুণদের ভোট তিনি পাবেন না বলে আমার বিশ্বাস’।
রিফাতের বক্তব্যের সত্যতাও ওঠে আসে বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে। যুদ্ধাপরাধ ও নাশকতার মামলায় তিনি কিছুদিন আগেও গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকারও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ‘দুনিয়ার নেতৃত্ব’ নামে একটি বই লিখেছেন যার মাধ্যমে তিনি জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থায় উস্কানি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে। গাজী নজরুলের বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগ অবশ্য বেশ পুরোনো। বিএনপি জামায়াত আমলে তিনি এ অঞ্চলকে জঙ্গিবাদের ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তোলেন।