সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বিগড়ে দিয়ে নির্বাচন বানচালের মতো ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বিএনপি। সম্প্রতি নির্বাচনী সহিংসতা সৃষ্টি ও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে আইএসের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের বৈঠকের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিএনপির সহিংসতাপূর্ণ আচরণ বেড়েছে। আর এই তৎপরতাকে চাঙ্গা করে সরকারকে চাপে ফেলতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার ডাক দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই দিন আগে আগামী ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার প্রস্তাব করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
সূত্র বলছে, সম্প্রতি গণমাধ্যমের বিভিন্ন শাখার খবরে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন আইএসের গোপন ১১টি বৈঠকের খবরের সূত্র ধরে বেরিয়ে এসেছে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর একটি- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নস্যাতের পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল ও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বিএনপি-জামায়াত। এর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করছে আইএসআই।
সূত্র বলছে, তারেক রহমানের ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২৭ ডিসেম্বরকে বেছে নেয়া হয়েছে। যদি সমাবেশে তৃণমূলের বড় সমাগম ঘটে তবে নির্বাচনী পরিবেশ অনিরাপদ দাবি করে সহিংসতার মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তুলবে ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি-জামায়াত।
যদিও নির্বাচনী পরিবেশকে স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ‘জনসমাবেশ’ প্রস্তাব ভেবে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
এ প্রসঙ্গে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, পরিকল্পনা যাই থাকুক তা খুব শক্ত হাতে দমন করে নির্বাচনে সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। আর তারও আগে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ নিয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত দেয়া সরকারের। কেননা, নির্বাচন কেন্দ্রিক বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আইএসের বিষয়টি দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ।উল্লেখ, নির্বাচনের আগে জনসমাবেশে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জনসভা করার কারণ জানতে চাইলে ডা. কামাল বলেছেন, ২৭ ডিসেম্বর জনসভা করবোই, পারলে বন্ধ করুক!