নির্বাচনের বাকি আর সপ্তাহখানেক। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামায়াতের নারকীয় হামলাও বেড়ে যাচ্ছে। দেশজুড়ে তারা অব্যাহত রাখছে তাদের হামলা। এমনকি তাদের হামলা দিনদিন শাখা-প্রশাখা বিস্তার করছে। তাদের এই হামলার হাত থেকে বাদ যাচ্ছে না দেশের কেউ। নির্বাচনী প্রচারণায় যেই দলই মাঠে নামুক না কেন, তাদের উপরই ঝাঁপিয়ে পড়ছে বিএনপির টাকাখোর তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি বেশ ভালো করে বুঝে গেছে যে তারা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না। জায়গা করে নিতে পারবে না ভোটারদের মনে। এজন্য তারা এই নির্বাচনী মৌসুমে সংবাদের শিরোনামে থাকার জন্য হামলা চালাচ্ছে।
দেশের প্রতিটি প্রান্তে বিএনপি চালিয়ে যাচ্ছে হামলা। ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে বোমা হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহের অফিসে কিছু নেতাকর্মীরা প্রচার প্রচারণা নিয়ে আলোচনা করছিলো। ঠিক এমন সময়ে অতর্কিত আক্রমণ করে বিএনপির সন্ত্রাসীরা। কার্যালয়ের ভেতরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ফেলে দেয় রাস্তায়। এই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চরকোল এলাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মিটিং চলাকালীন ১২ থেকে ১৪ জন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে করে এসে বেশ কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমা বিস্ফোরণের পরই তারা একসাথে কার্যালয়ের ভিতরে গিয়ে হামলা চালায়। বিএনপির নেতাকর্মীরা এসময় পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতাকর্মীদের পোস্টার, ব্যানার। হামলায় গুরুতরভাবে আহত হন পাঁচজন। তাৎক্ষনিকভাবে তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একই সময় তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বরগুনা জেলাতেও। নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন আওয়ামী লীগ কর্মী শিহাব। এসময় আন্ধারমানিক এলাকায় আসতেই তার ওপর হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে সড়কেই ফেলে রাখে তাকে। পরে এলাকাবাসী তাকে বরগুনা সদর হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় নিয়ে যায়।
যে সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রচার প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, ঠিক সে সময়ে তারা মেতে উঠেছে এক অপরাজনীতিতে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমই তাদের দলের মূলমন্ত্র এটাই বারবার প্রমাণ করছে বিএনপি।