ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বহরে থাকা ৬ থেকে ৭টি গাড়ি হামলাকারীরা ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ।
বহরে থাকা মির্জা ফখরুলের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. ইউনুস বি করেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি ইউনিয়নে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
মো. ইউনুসের আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খানও একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। বহরের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ রকম একটি খবর তারা শুনেছেন। তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন। তিনি নিজে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে কথা বলেছেন।
ফখরুলের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. ইউনুস বলেন, হামলাকারীরা বহরের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তবে বিএনপির মহাসচিবের গাড়ি অক্ষত রয়েছে। তিনিও (মির্জা ফখরুল) অক্ষত আছেন। তবে এ ঘটনায় বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন।
বহরে থাকে বিএনপির নেতাদের ভাষ্য, সোমবার রাতে স্থানীয় বিএনপির দুজন নেতা গ্রেপ্তার হন। মির্জা ফখরুল তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের তানারহাট গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে হামলা হয়। আওয়ামী লীগের স্থানীয় কর্মীরা এই হামলা চালান বলে অভিযোগ বিএনপির নেতাদের।
মো. ইউনুসের অভিযোগ, বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বনী আমিনের নেতৃত্বে এই হামলা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেষ্টা করেও বনীকে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সময় উপস্থিত জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং নারগুন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান পয়গম আলী জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে গাড়িবহর নিয়ে তার নিজ নির্বাচনি এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে আসছিলেন। এসময় তিনি দানারহাট এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণার জন্য যান। সেসময় একদল সন্ত্রাসী মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা করে। এতে মির্জা ফখরুলের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও বহরের ৬-৭টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার কর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান এ বিষয়ে জানান, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শিডিউলের বাইরে ওই এলাকায় প্রচারণার জন্য যান। নিয়ম অনুযায়ী আমাদের ২৪ ঘণ্টা আগে জানানোর কথা। কিন্তু উনি কিছু না জানিয়ে শিডিউলের বাইরে গিয়ে ওই এলাকায় প্রচারণার জন্য যান। ওই এলাকায় উনার যাওয়ার কথা ছিল না। তাই উনি ওই এলাকায় যাওয়ার পর কে বা কারা তার গাড়ি বহরের অন্যান্য গাড়িতে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। কারা হামলা করেছে তা আমরা এখনও জানতে পারিনি। তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হামলার কারণে মির্জা ফখরুল আর তানারহাটে অবস্থান করেননি। সেখান থেকে তিনি গরিয়ার হাট নামক স্থানে নির্বাচনী পথসভা ও প্রচারে অংশ নিচ্ছেন।