নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার ২০০৮ সালে দেনা ছিল মাত্র ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত ১০ বছরে তার ঋণ বেড়ে অর্ধশত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বর্তমানে মান্নার ঋণের পরিমাণ ৫৩ কোটি ৪৫ লাখ ৪৮ হাজার ২৪৬ টাকা।
নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা তার ২০০৮ ও ২০১৮ সালের হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এবারের হলফনামায় মান্না জানিয়েছেন, স্ত্রীর আয় ও সম্পদ দুটোই তার তুলনায় বেশি। নগদ টাকা রাখার ক্ষেত্রেও এগিয়ে স্ত্রী মেহের নিগার। তার পরিবার স্ত্রীর ওপর নির্ভরশীল। গুলশানে বসবাসরত মান্নার কোনো গাড়ি নেই।
মাহমুদুর রহমান মান্নার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৭ লাখ ৪২ হাজার ৪৯২ টাকা। তার স্ত্রী মেহের নিগারের অস্থাবর সম্পদ ৪০ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩১ টাকা। মান্নার স্থাবর সম্পদ বলতে শুধু ৩২ লাখ ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি বাড়ি। তার স্ত্রীর রয়েছে রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় ৪২ অযুতাংশের জায়গাসহ ভবন এবং সুনামগঞ্জের সদরপুর ও ষোলঘর মৌজায় ৪৯ শতাংশ জমি।
নির্বাচনী হলফনামায় মান্না বলেছেন, ব্যাংকে তার মাত্র ১০ হাজার ৫৭৭ টাকা আছে। এছাড়া নগদ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯১৫ টাকা, শেয়ারবাজার ও বন্ড বাবদ ২০ লাখ, ৫ তোলা স্বর্ণালংকার বাবদ ৩৫ হাজার টাকা আছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
২০০৮ সালের হলফনামায় মান্না পেশা উল্লেখ করেছিলেন পোশাক কারখানার ব্যবসা। আয়ের উৎস ছিল ব্যবসা। এবারের হলফনামায় পেশা হিসেবে ব্যবসা, রাজনীতি, লেখক ও কলামিস্ট উল্লেখ করেছেন।
২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত মাহমুদুর রহমানের নামে কোনো ফৌজদারি বা অন্য কোনো মামলা ছিল না। এবারের হলফনামায় ৩টি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। ২টি মামলা হয়েছে সিএমএম আদালতে। এগুলো তদন্তাধীন। অন্য মামলাটি বিশেষ সামরিক আদালতে। এ মামলা থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন।