দিন যত যাচ্ছে নির্বাচনের উত্তাপও তত বাড়ছে। পাড়া মহল্লার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বন্দরে, নগরে সবখানে এখন একটাই কথা- আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতির সাথে প্রস্তুত হচ্ছে দেশের জনগণও। কিন্তু দিন যত এগোচ্ছে ততই অনেক গোপন তথ্য বের হয়ে আসছে দেশের বিতর্কিত রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নিয়ে। এ যেন অনেকটা প্রদীপ স্পর্শেই দৈত্য হাজিরের শামিল।
যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখিবে তাই। কবির এই কথার মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে বিএনপি। টাকার লোভে তারা দেশের ছোট ছোট ইস্যুতেও সৃষ্টি করছে বিশৃঙ্খল। অধিক টাকার লোভে কানাডার অদক্ষ কোম্পানি নাইকোর সাথে চুক্তি করে সেই খালেদা। গ্যাস ক্ষেত্র বিস্ফোরণে কয়েক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয় দেশের রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অঙ্গনে। কয়েক একর ফসলাদি জমি নষ্ট হয় এই বিস্ফোরণের ফলে। এমনকি এখনও সেই জমিতে ফসল হচ্ছে না। কিন্তু তাতে সেই দুর্নীতিবাজ পরিবারের কোনো মাথা ব্যথা ছিল না।
কারণ তার দলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতায় থেকে নিজের পকেট ভারী করা। এই ভারী করার প্রক্রিয়ায় যদি দেশের মানুষ অনাহারেও থাকে তাতেও তাদের কোনো সমস্যা ছিল না।
বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালীন পরিসংখ্যানে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত হয়নি। এমনকি হুমকির ভেতর ছিল তারা। দেশে বেড়ে গিয়েছিল অরাজকতা। কিন্তু তাতেও দৃষ্টিপাত করেনি বিএনপি সরকার। কারণ তাদের কাজতো এগুলো ছিল না। তাদের মুখ্য কাজ ছিল নিজের আখের গোছানো। টাকা ছিল যেখানে বিএনপি ছিল সেখানে।
এই টাকা চাই, আরও চাই অভ্যাস অব্যাহত রেখেছে নির্বাচনের মনোনয়নের ক্ষেত্রেও। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং রুহুল কবির রিজভী মনোনয়ন প্রার্থীদের থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ লেনদেন করেছে। এই অর্থ তারা তাদের নিজস্ব অর্থাৎ ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে রেখেছেন। কিন্তু গোপনীয় এই অবৈধ অর্থ আদান-প্রদানের খবর চলে যায় বাকি সিনিয়র নেতা-কর্মীদের কানে। আর তাদের কানে পৌঁছানোর পরই সৃষ্টি হয় অবৈধ অর্থ নিয়ে বিশৃঙ্খলা, রেষারেষি।
এই গুরুত্বপূর্ণ সময়েও বিএনপির নেতাকর্মীরা একজনের পিছনে আরেকজনের লেগে থাকা থেকে ছাড়তে পারেনি। দূর হয়নি দলের ভেতর অন্তঃকোন্দল। দিনদিন এই অন্তঃকোন্দল আরও বড় আকার ধারণ করছে।