রংপুর ও জামালপুরে দায়ের করা মানহানির মামলায় ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। একইসঙ্গে দুই মামলার কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত করে সেগুলোর নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি রেজাউল করিম ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন। আদালতে মইনুল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা। টেলিভিশন টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তি করার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ই অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ্য করে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ‘চরিত্রহীন’ মন্তব্য করেছিলেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা- সমালোচনার ঝড় ওঠে।
পরে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। একই অভিযোগ এনে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আরেকটি মামলা হয়। যদিও মামলা দু’টিতে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন ব্যারিস্টার মইনুল। ওই দুই মামলা ছাড়া তার বিরুদ্ধে রংপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ভোলা ও কুড়িগ্রামেও মামলা হয়। এরমধ্যে একাধিক মামলায় পরোয়ানা জারি করেন বিচারিক আদালত।
গত ২২শে অক্টোবর রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।