নিউজ ডেস্কঃ-ভয়াল এক নীলনকশা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। দলটি সফল হলে দেশ আবারও চলে যাবে অন্ধকারে, পিছিয়ে যাবে হাজার বছর।
বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা কেবলই আইওয়াশ। তারা এগোচ্ছে ‘অন্যরকম ইচ্ছে’ নিয়ে। আগামী ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিনের পর থেকেই বাংলাদেশের বুকে শেষ কামড় বসাতে চায় বিএনপি।
তাদের সেই মরণকামড়ের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চায় এক অতল গহ্বরে। কর্মীদের উপর পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আঘাত-হামলা করারও নির্দেশনা রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশে অচলাবস্থা সৃষ্টি করে বিএনপি পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার পায়তারা করছে।
বিএনপির এমনিতেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়, জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসার ইচ্ছে বা ক্ষমতা কোনদিনই ছিল না। বরাবরই অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা দখলে উৎসাহী ছিল দলটি।
তার উপরে খালেদার শাসনামলের সীমাহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ আজও ভুলেনি দেশের মানুষ। ২০১৩-১৪ সালে ঘটিত ভয়াবহ আগুনসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের ক্ষত বাংলাদেশের বুক থেকে মুছে যেতে আরও অনেকদিন লাগবে।
তবে ষড়যন্ত্রকে নিজেদের অভিধান থেকে মুছে ফেলতে পারেনি বিএনপি। ‘জনমত’ বুঝতে পেরে স্বভাবসিদ্ধ ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে তারা।
বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্রটি জানায়, ৯ ডিসেম্বর থেকেই দেশব্যাপী নৈরাজ্য ও আগুনসন্ত্রাস শুরু করবে বিএনপি। যথারীতি দলটির পাশে থাকবে নিবন্ধনহীন, দেশবিরোধী দল জামায়াত।
দেশে অস্থিতীশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচাল করাই বিএনপির লক্ষ্য। এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে ব্যাহত করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে তারা।
৯ ডিসেম্বর থেকে করণীয় সকল কিছুর ছক ইতোমধ্যে কষে ফেলেছে দলটি। পুরো ব্যাপারটি দেখভাল করছেন লন্ডনে পলাতক দণ্ডিত আসামী তারেক রহমান। তার নির্দেশেই চলছে বিএনপির নেয়া ‘দেশ জ্বালাও, মানুষ জ্বালাও’ কর্মসূচীর প্রস্তুতি।
বিএনপি নেতা ফখরুল, মওদুদ, রিজভী গং তারেকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে দিকনির্দেশনা নিচ্ছেন। প্রায় প্রতিরাতেই অজ্ঞাত স্থানে বসছে তাদের গোপন বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকছেন দেশি বিদেশী কুশীলবদের প্রতিনিধিরা।
আর দেশ ধ্বংসের এই পরিকল্পনায় আর্থিক, কারিগরি সকল সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানসহ কিছু অপশক্তি।
বিএনপির একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গতবারের আন্দোলনে (২০১৩-১৪ সালের) এতকিছু করেও আমরা সফল হইনি। তাই এবার আরো বিস্তৃত পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি আমরা।
সেই বিস্তারিত পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে না চাইলেও এই কর্মী আভাস দিলেন দেশ অচল করে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারেক।
তাই বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, ২০১৩-১৪ সালের চেয়েও বড় আগ্রাসন চালাবে বিএনপি। দলটির নেতাদের হুমকি ও হম্বিতম্বি সেই আশঙ্কাকেই প্রতিষ্ঠিত করে। তবে দেশের শান্তিপ্রিয়, গণতন্ত্রমুখী জনগণ যে এসব অপকর্ম এবারও প্রতিহত ক্রবে, সেকথা বলাই বাহুল্য।