নিউজ ডেস্কঃ-বিএনপিতে যোগ দেওয়া মাত্রই দলট থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। কমিশন বাণিজ্য, গণমাধ্যমকর্মী লাঞ্চিতসহ বিভিন্ন অপকর্মে তার ঝুলি পরিপূর্ণ। আর যার ঝুলি এতো খারাপ কাজ দ্বারা পরিপূর্ণ আর তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।
অথচ আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য এবারও জোর চেষ্টা চালান রনি, কিন্তু ফলাফল শূণ্য। আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার পরেই রনি বিএনপিতে যোগ দেন।
আর আওয়ামী লীগের ফেলে দেয়া এই আবর্জনাকে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা বিএনপি নেতাকর্মীরা। মাহমুদুর রহমান মান্নাকে পাশে পেয়েও সন্তুষ্ট বিএনপি। রাজনীতির মাঠে ‘ফেইলবাবু’ এই নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়েই গিয়েছেন বিএনপি ঘরানায়, পাচ্ছেন মনোনয়নও। তবে পাশ যে তার কপালে জুটবে না, একথা একপ্রকার নিশ্চিত করেই বলা যায়।
বিনোদন কিন্তু এখনো শেষ হয়নি-
‘নষ্টা নারীখ্যাত’ বাংলা চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা যুগের অভিনেত্রী শায়লাও পেয়েছেন এই দলটির থেকে মনোনয়ন। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপি আমলে বাংলা চলচ্চিত্র ছিল অশ্লীলতয় ভরপুর। খোদ তারেক জিয়া ও তার ক্যাডারবাহিনী তখন চলচ্চিত্র জগতের হর্তাকর্তা ছিলেন।
শায়লায় ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র থেকে জানা যায়, তারেকের ‘হাওয়া ভবনে’ প্রায় প্রতি রাতেই নিয়মিত যাতায়াত ছিল শায়লার। সেখানে তিনি তারেকের সাথে একান্তে সময় কাটাতেন। সেসব সময়ের প্রতিদানস্বরূপ শায়লা এই মনোনয়ন পেলেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগ থেকে বের করে দেয়া নেতা ও অশ্লীল ছবির নায়িকাকে দল মনোনয়ন দেয়ায় নেতাকর্মীরা যারপনাই হতাশ। ‘বিএনপি’র এই লজ্জাজনক অবস্থা দেখে তারা এক প্রকার বিলাপই করছেন।
অন্যদিকে, দেশের প্রধান দল আওয়ামী লীগ কর্মীরা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। দেশের প্রাচীনতম দল হিসেবে আওয়ামী লীগে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা ব্যাপক। তবে মনোনয়ন পর্ব সম্পন্ন হয়েছে বেশ সুশৃংখলভাবেই।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এ পার্থক্যের ব্যাপারে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদের একটি উক্তি স্মরণ করা যেতে পারে। তিনি বলেছিলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন হবার চেয়ে আজীবন আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়া অনেক বেশি সম্মানের।
মনোনয়নে প্রদানের ক্ষেত্রেও যেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আদর্শিক পার্থক্য আবারো জনগণের সামনে চলে এলো।