নিউজ ডেস্কঃ- একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া শুরু হয়েছে সোমবার (২৬ নভেম্বর) থেকে। এদিকে, চূড়ান্ত মনোনয়নে সংস্কারপন্থীদের জয়জয়কারে বিএনপিতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। দীর্ঘ দশ বছরের অধিক সময় জেল-জুলুম সহ্য করে পরীক্ষিত, নিবেদিত এবং জন-বান্ধব নেতাদের মূল্যায়ন না করায় মনোনয়ন বঞ্চিতদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে বলেও সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
নয়াপল্টন বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়নে সংস্কারপন্থীদের প্রাধান্য দেওয়ায় পোড়-খাওয়া নেতাদের সমর্থকরা হতাশ হয়ে হট্টগোল ও মিছিলে মিছিলে প্রতিবাদ মুখর হয়ে পড়েন। এখন পর্যন্ত বিএনপি যে মনোনয়ন দিয়েছে, সেখানে রাজশাহী-৪ এ আবু হেনা, বরিশালে জহির উদ্দিন স্বপন, কুমিল্লা-৭ থেকে রেদওয়ান আহমেদ, ভোলা-৩ থেকে হাফিজউদ্দিন আহমেদসহ অনেকেই সংস্কারপন্থীই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন। দলের দুঃসময়ে যারা যারা আত্মগোপন করেছিলেন, এখন তারাই মনোনয়ন পাচ্ছেন। অন্যদিকে গত ১০ বছর সুবিধা বঞ্চিত, পরীক্ষিত নেতাদের উপেক্ষা করে হাইব্রিড ও সুবিধাবাদী নেতাদের মূল্যায়ন করায় দলের নিবেদিত কর্মীরা মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করছেন বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মী। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মনোনয়ন না পাওয়ায় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মাঠের জনপ্রিয় নেতাদের উপেক্ষা করে হাইব্রিড ও সুযোগ সন্ধানী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়ায় আসনগুলোতে বিএনপির ভরাডুবির শঙ্কা করছে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশাল-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত এক নেতা বলেন, ২০০৭ সালে সংস্কারপন্থীদের দলে ছিলেন জহির উদ্দিন স্বপন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি ছিলেন। জহির উদ্দিন স্বপন তো সুযোগ সন্ধানী নেতা। বিএনপির বিগত দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে পালিয়ে ছিলেন তিনি। অথচ বিগত দশ বছর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার জন্য আমার নামে ১৮টি মামলা দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। আমি বিভিন্ন সময়ে তিন বছর জেল খেটেছি। আশা ছিলো, দল আমার কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে এই আসনে আমাকে মনোনয়ন দিবে। কিন্তু বাস্তবতা এখানে পুরোটাই উল্টো। কর্মী বান্ধব নেতাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় বরিশালের এই আসনে বিএনপির পরাজয়ের শঙ্কা রয়েছে। আমি হাই কমান্ডকে বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।