বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনঃ চিহ্নিত রাজাকারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা


প্রকাশের সময় :২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ২:৫২ : অপরাহ্ণ 534 Views

নিউজ ডেস্কঃ-রাজাকার ও জঙ্গীদের সঙ্গী করেই ২০০১ সালে কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলো বিএনপি। শরিক দল হিসেবে তারা বেছে নিয়েছিলো ’৭১ এর চিহ্নিত দেশবিরোধী শক্তি, রাজাকারদের আস্তানা জামায়াতকে।

১৯৭১ সালে জামায়াতের দেশবিরোধী অপকর্মগুলো সম্পর্কে গোটা বিশ্ববাসী অবগত। কিন্তু স্রেফ ক্ষমতার লোভে ঘৃণিত জামায়াতকে জোটসঙ্গী করতে দ্বিধা করেনি বিএনপি। অবশ্য বেঈমানি আর প্রতারণার ইতিহাস বিএনপির জন্য বেশ পুরানো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেসকল চিহ্নিত রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বন্দী করে বিচারের আওতায় এনেছিলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই তাদের মুক্ত করেন। পাশাপাশি সহি সালামতে তাদের থাকার ব্যবস্থাও করে দেন।

জন্মের শুরু থেকেই দেশবিরোধী ও পাকিপ্রেমীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া বিএনপি তাই জামায়াতকে সঙ্গী করেই দেশব্যাপী প্রচারণা চালাতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের জন্য বড় এক আঘাত। তবে এখানেই থেমে থাকেনি দলটি। ‘স্বার্থের জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত বিএনপি’।

মুক্তিযোদ্ধাদের মনে পাহাড়সম কষ্ট তুলে দেয়ার সকল বন্দোবস্ত করে রেখেছিলেন খালেদা-তারেক গং। খুব বেশি অপেক্ষাও করতে হয়নি তাদের। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেই দেশকে জঙ্গীদের অভয়ারণ্য পাকিস্তানের আদলে গড়ে তোলার ‘খায়েশ’ পূর্ণ করেন তারা। বিশ্ববাসী অবাক নয়নে অবলোকন করলো, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, রাজকারদের গাড়িতে তুলে দেয়া হলো রক্তমূল্যে কেনা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। যে নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদী আজীবন বাংলাদেশের বিরোধীতা করে এসেছে, পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে এসেছে নির্দ্বিধায়, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে রাঙানো তাদের সেই হাতেই তুলে দেয়া হলো স্বাধীন বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব। শপথ গ্রহণের দিন রাজাকারদের সেই পৈশাচিক হাসি যেন মর্টার শেল হয়ে বিঁধেছিল দেশপ্রেমিক জনতার বুকে। লাখো মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যেরা সেদিন নীরবে অশ্রু ফেলেছেন।

৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া দেশে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে যুদ্ধাপরাধীরা, এর চেয়ে গ্লানি-দুঃখের আর কী বা হতে পারে!

যুদ্ধাপরাধী নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদী গং অবশ্য তাদের মিশন বাস্তবায়ন করেছিলেন ঠিকঠাক। নির্বাচনের রাত থেকেই দেশব্যাপী তাণ্ডব শুরু করে জামায়াত-শিবির, যা দিন দিন বাড়তে থাকে।

বিএনপি জামায়াত জোটের সরাসরি মদদে দেশব্যাপী চলতে থাকে সন্ত্রাস ও ভয়াবহ জঙ্গীবাদ। মুড়ি মুড়কির মতো গ্রেনেড-বোমা ফুটতে থাকে। দেশব্যাপী শিবিরের উগ্র তান্ডবের চিত্র উঠে আসতে থাকে গণমাধ্যমে। ক্ষমতায় থাকার পুরো পাঁচ বছরেই চলতে থাকে এই আস্ফালন।

সেসকলই এখন অতীত। রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীরা আজ আইনের আওতায়, অনেকেরই ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু ২০০১-০৬ শাসনামলে যে আঘাত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর করেছেন খালেদা-তারেক গং, তা অনাদিকাল পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হবে বাংলাদেশকে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!