নিউজ ডেস্কঃ-বহু দেন-দরবারের পরে পাঁচটি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকছেন প্রেস ব্রিফিংয়ে পারদর্শী নেতা ড. কামাল হোসেন। এতে জনভিত্তিহীন গণফোরামের এই নেতার সন্তুষ্ট হবারই কথা। জনগণের সরাসরি ভোটে বারবার যার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়, তিনি খুশি না হয়ে যাবেন কোথায়!
তবে এবার তাকে ছেড়ে যাবার কথা চিন্তা করছেন তারই দলের অন্য নেতারা। যাবার-ই তো কথা! অশেষ হালুয়া রুটির আশায়ই গণফোরামে ভিড়েছিলেন এসব নেতারা। লক্ষ্য একটাই- ক্ষমতার কাছাকাছি আসা। কিন্তু ড. কামাল তাদেরকে ক্ষমতার ধারে কাছে তো দূরের কথা, জামানত ফেরত পাওয়ার ধারে কাছেও নিতে ব্যর্থ হয়েছেন বারবার। হতাশ-বিরক্ত নেতারা তাই বহুদিন ধরেই দলত্যাগের কথা ভাবছেন।
তবে সকল নীতি আদর্শ ত্যাগ করে ড. কামাল ঐক্যফ্রন্টের চালকের আসনে চলে আসায় নতুন আশায় বুক বেঁধেছিলেন এসব নেতারা। কিন্তু বিধিবাম!
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নেতৃত্বের প্রশ্নে তারেক-কামাল দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে। কামাল বিএনপির ওপর ছড়ি ঘুরাচ্ছেন, এমনটা আঁচ করতে পেরেই দলে নিজের কর্তৃত্ব জোরদার করতে চাচ্ছেন পলাতক তারেক। ফলে কপাল পুড়তে যাচ্ছে কামালের গণফোরামের।
‘জামায়াত প্রশ্নে কোন ছাড় নেই’ বারবার কামাল হোসেনের এমন ঘোষণার পরেও তিনি জামায়াতকে মেনে নিয়েই ঐক্যফ্রন্টে আসেন। দলে হাতগোনা যে ক’জন নেতা আছেন, তারাও স্বীয় স্বার্থে তার এই সিদ্ধান্ত মেনে নেন। আশা একটাই, জীবনে প্রথমবারের মতো সাংসদ হবেন।
ড. কামালও শুরু থেকে ৫০টি আসন দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু তারেকের সন্ত্রাসী মনোভাবের কাছে হার মানেন কামাল। নিজের আসনসহ মাত্র পাঁটটি আসন পাচ্ছেন তিনি।
ফলশ্রুতিতে একথা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, তার দলের অধিকাংশ নেতাই মনোনয়ন বঞ্চিত থেকে যাবেন। সম্ভাব্য সেইসব মনোনয়ন বঞ্চিতরাও বিকল্প ভাবছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গণফোরাম নেতা জানান, ড. কামাল হোসেন আমাদের সাথে বেঈমানী করেছেন। তিনি নিজেরসহ তার পদলেহনকারী, এমনকি ব্যক্তিগত কর্মচারীদের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন। অথচ তিনি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে আমাদের মনোনয়নের ব্যবস্থা করবেন। সেই আশায়ই উনার সাথে দীর্ঘদিন আছি। নানাভাবে উনাকে সাহায্য করেছি। যার সবকিছু গণমাধ্যমে বলা সম্ভব না। তবে আমরা বসে নেই। বঞ্চিতরা অচিরেই একসাথে বসে করণীয় নির্ধারণ করবো। আমরা চাই অতীতের সকল ভুলভ্রান্তিকে পেছনে ফেলে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে’।
তবে অবস্থা যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে আগামী কিছুদিনে আরো অনেকের ঐক্যফ্রন্ট থেকে বের হয়ে আসার দৃশ্য আমরা দেখতে পাবো, একথা নিশ্চিত করেই বলা যায়।