যে ৪ কারণে বাতিল হলো জামায়াতের নিবন্ধন


প্রকাশের সময় :১ নভেম্বর, ২০১৮ ৪:০২ : অপরাহ্ণ 622 Views

বান্দরবান অফিসঃ-উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, আদালতের রায়ের উপর ভিত্তি করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও’র বিধান অনুযায়ী দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়ছে। ২৯ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বেশ কয়েকটি যুক্তি বিবেচনায় দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।

নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত যুক্তিগুলো হলো-

প্রথমত, জামায়াত নীতিগতভাবে জনগণকে সব ক্ষমতার উৎস বলে মনে করে না। সেই সঙ্গে আইন প্রণয়নে জনপ্রতিনিধিদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাকেও স্বীকার করে না দলটি। যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

দ্বিতীয়ত, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুসারে, কোন সাম্প্রদায়িক দল নিবন্ধন পেতে পারে না। অথচ কাজে কর্মে ও বিশ্বাসে জামায়াত একটি সাম্প্রদায়িক দল। একটি সাম্প্রদায়িক দল সর্বস্তরের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না।

তৃতীয়ত, নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গের কোন বৈষম্য করতে পারবে না। কিন্তু জামায়াতের শীর্ষপদে কখনো কোন নারী বা অমুসলিম যেতে পারবে না। ফলে তা অসাম্প্রদায়িক চেতানা বহির্ভূত বলেই বিবেচিত হয়।

চতুর্থত, কোন দলের বিদেশে কোন শাখা থাকতে পারবে না। অথচ জামায়াত একটি বিদেশি সংগঠনের শাখা। এমনকি তারা এটা স্বীকারও করে যে- তাদের জন্ম ভারতে, বিশ্বজুড়ে তাদের শাখা রয়েছে। সুতরাং দলটি বাংলাদেশের সংবিধানে রাজনৈতিক দলের শর্তের পরিপন্থী।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হয় জামায়াতে ইসলামী। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করে। সেই রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে দীর্ঘ নয় ৯ বছর পর দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হলো।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!