জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদন্ড


প্রকাশের সময় :২৯ অক্টোবর, ২০১৮ ৪:৫০ : অপরাহ্ণ 600 Views

বান্দরবান অফিসঃ-জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলার অন্য তিন আসামিকে ৭ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন বিশেষ আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত। জরিমানা আনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।  সাড়ে এগারটায় রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। রায়ের দিন সকাল থেকেই আদালত ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালত। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই সংক্ষিপ্ত এ রায় দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না খালেদা জিয়াসহ অন্য তিন আসামীর আইনজীবীরা।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এর আগে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল খারিজ করেন সর্বোচ্চ আদালত। খালেদা জিয়া তার অনুপস্থিতিতে বিচার অব্যাহত থাকার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছিলেন। কিন্তু তার সেই আপিল খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এ আপিল আবেদনের শুনানি শেষে আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিলেট ডিভিশনের সাত সদস্যের বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছেন । এর ফলে এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিতে পারবে ঢাকায় স্থাপিত স্পেশাল কোর্ট-৫ এর বিচারক।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৮ই আগষ্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ চার জনের নামে এ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটি’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক  জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সাবেক একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

গত ৫ই সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ওই আদালতে হাজির হয়ে জানান, তিনি অসুস্থ। এ অবস্থায় বার বার আদালতে আসতে পারবেন না। এরপর একাধিক ধার্য তারিখে প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, খালেদা জিয়া আদালতে আসতে ‘অনিচ্ছুক’। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চালিয়ে যাওয়ার আবেদন করে প্রসিকিউশন। তবে, বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করে জানান, খালেদা জিয়া  আদালতে আসতে ইচ্ছুক। তবে, তিনি অসুস্থ। আগে তার চিকিৎসা প্রয়োজন। সুস্থ হলেই তিনি আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেবেন। শুনানি নিয়ে গত ২০শে সেপ্টেম্বর এক আদেশে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই এই মামলার বিচারকাজ চলবে বলে আদেশ দেন আদালত। পরে বিচারিক আদালতের এ আদেশ চ্যালেঞ্জ ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা। শুনানি নিয়ে গত ১৪ই অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এক আদেশে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদন খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের আদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা  চলছে। গত ৬ই অক্টোবর তাকে এ হাসপাতালের কেবিন ব্লকে ভর্তি করা হয়।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!