বান্দরবান অফিসঃ- নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে শুরু করে বিএনপির সকল দায়িত্ব নিজ হাতে নিচ্ছেন ড. কামাল। বিএনপির এক সিনিয়র নেতা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ড. কামালকে উপযুক্ত মনে করেই এমন গোপন সিদ্ধান্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গৃহীত পদক্ষেপগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, যতই তারা ৭ দফা বা ১১ দফার কথা বলুক, ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনে যাওয়াই তাদের লক্ষ্য।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অবশ্যই অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনে অভিন্ন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল।
এদিকে ঐক্যফ্রন্টের একাধিক সূত্রে জানা যায়, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ বলছে, তারা যেকোন উপায়ে নির্বাচনে যাবে। নির্বাচনে গেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল অভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ধরেই নিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন করতে পারবেন না। এমন ধারণা নিয়েই তারা ড. কামাল হোসেনকে জোটের আহ্বায়ক করেছে। দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, অভিন্ন প্রতীকে অংশ নেওয়া এই নির্বাচনে ড. কামাল হোসেন খালেদা জিয়ার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়া প্রত্যেক নির্বাচনে বগুড়া ও ফেনীসহ ৫টি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। খালেদা জিয়ার এই আসনগুলো নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ঝুঁকি কম হওয়ায় ফেনী অথবা বগুড়ার দুটি আসন থেকে ড. কামাল হোসেন নির্বাচন করবেন।
তাছাড়া ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতা যাদের নির্বাচনে জেতার কোন সম্ভাবনা নেই তাদেরকে খালেদা জিয়ার অন্যান্য আসনগুলো থেকে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।