বান্দরবান অফিসঃ-শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আর এই শিক্ষার আলো সমগ্র জাতির মাঝে ছড়িয়ে দেন শিক্ষকগণ। ২০০৯ সালের আগে এই শিক্ষকগণ মানবেতর জীবনযাপন করতেন। যথাযথ সুবিধা, প্রাপ্য সম্মানটুকু তাদের দেয়া হতো না। কিন্তু সেই দিন এখন অতীত। বর্তমানে জাতি গঠনের এই কারিগরদের দেয়া হচ্ছে তাদের প্রাপ্য সম্মান ও যাবতীয় সুযোগ সুবিধা। কারণ প্রতিটি সফল মানুষের পিছনে রয়েছে একজন আদর্শবান শিক্ষকের অবদান। একজন শিক্ষকই পারেন শিক্ষার্থীর জ্ঞানের দুয়ার উন্মোচন করতে।
শিক্ষকদের যথাযথ সম্মানের দিক বিবেচনা করে বর্তমান সরকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতি দিতে যাচ্ছে। এই পদোন্নতির জন্য যাবতীয় কাজ করে যাচ্ছে দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রণয়ন করছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। পদোন্নতির জন্য শিক্ষকদের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সব আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বিশেষ বাহক মারফত অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিবরণস্বরূপ যেসব সহকারী শিক্ষকের চাকরির ৮ বছর পূর্তি হবে তাদের হিসাব রক্ষণ অফিস প্রদত্ত চাকরির বিবরণী, নিয়োগ পত্র, আত্তীকরণ আদেশ, স্থায়ীকরণ আদেশ, নিয়মিতকরণ আদেশ, যোগদান পত্রের সত্যায়িত কপি, প্রতিষ্ঠান প্রধানের দেওয়া মামলা সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র এবং চাকরির ধারাবাহিকতা ও চাকরিকালের সন্তোষজনক প্রত্যয়নপত্র অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। যারা বি এড সম্পন্ন করেছেন তাদের বি এড পাস সনদের সত্যায়িত কপি এবং বিগত ৫ বছরের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনও অধিদপ্তরে পাঠাতে আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের বলা হয়েছে।
সম্প্রতি মাধ্যমিকের শূন্য পদের জন্য ১ হাজার ৩৭৮টি পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রক্রিয়া চলছে। গত সপ্তাহে প্রায় ৪শ’ সহকারী শিক্ষককে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। দেশে পুরাতন সরকারি মাধ্যমিক স্কুল ৩১৭টি। সরকারি হাইস্কুলে ১০৯টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ৪২০ জন সহকারী শিক্ষককে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ৩৬৮ জন ও সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে ৫২ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। বর্তমানে সরকারি হাইস্কুলে ৯ হাজার ৯২৪ জন সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
যেকোনো ক্ষেত্রে কর্মস্পৃহা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য প্রেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজের দক্ষতাসহ অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে প্রেষণা বা সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমান সরকার সরকারি চাকরিজীবীদের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে এবং এর ধারাবাহিকতা পরবর্তীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।