বান্দরবান অফিসঃ-দিন যত যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন ততই কাছে আসছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন চায়- সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু নির্বাচন।
দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আওয়ামী লীগ বর্তমানে ক্ষমতায় বহাল থাকলেও অপর দল নানা অপকর্ম, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে রয়েছে অনেক দূরে। নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েও গরম করতে পারছেনা রাজনীতির মাঠ। ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে রয়েছে বিএনপি।
দুর্নীতির দায়ে ছয় মাসের বেশি কারাগারে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেকও রয়েছে দেশের বাহিরে। মামলার ভার কাঁধে নিয়ে আটকের ভয়ে দেশে ফিরছেন না তারেক। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি শুরু করে দিলেও দোটানায় রয়ে গেছে বিএনপি। কারণ খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ও আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে।
দলের নেতা কর্মীরা কেউ চাচ্ছে খালেদার মুক্তির আন্দোলন জোরদার করে তাকে মুক্ত করার পর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে। তারা খালেদাকে ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছে না। আবার কেউ বলছে খালেদার মুক্তি নিয়ে যদি পরে থাকতে হয় তাহলে আসন্ন নির্বাচনে ভালো প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব না। এজন্য নির্বাচনের পর মাঠে নামতে চাচ্ছেন খালেদার মুক্তির আন্দোলন নিয়ে। এ দুটি ইস্যু নিয়ে অন্তঃকোন্দল সৃষ্টি হয়েছে বিএনপিতে।
বিএনপিতে দলের ভিতর একাধিক দল সৃষ্টি হয়েছে। তারা বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত। একদল চাচ্ছে খালেদাকে মুক্ত করে নির্বাচনে অংশ নিতে। অপর দল চাচ্ছে খালেদাকে ছাড়াই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এবং নির্বাচনের পর খালেদার মুক্তির আন্দোলন জোরদার করতে। এই নিয়ে দুই নৌকায় পা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন যে এরকম দোটানায় ভুগলে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ অনেকটা ধোঁয়াশা হয়ে যাবে। এমনকি বিএনপির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মনোভাবও ক্ষীণ হয়ে যাবে।