বান্দরবান অফিসঃ-দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে বিএনপির পরিচিতি রয়েছে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে। একের পর এক অপকর্ম করার ফলে সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়েছে এই দল। সবশেষে এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করে কারাগারে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অপরদিকে তার বড় ছেলে দুর্নীতির বরপুত্র তারেক জিয়া দুর্নীতির কারণে আটক হওয়ার ভয়ে দেশেই আসছে না।
বিএনপি কোনোভাবেই রাজনৈতিক মাঠ গরম করতে না পেরে কিছু দিন পরপরই দেখা করছে দেশে নিযুক্ত বিদেশী কূটনীতিকদের সাথে। সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নেদারল্যান্ড, পাকিস্তান, মিশর, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে থাকা মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীনদের মনোভাব, নির্বাচন কমিশনের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু বিএনপির এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। কারণ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেকের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও বিদেশী কূটনীতিকগণ রাজি হননি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে। তাদের ভাষ্যমতে, একটি দেশের নির্বাচন, রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেফতার, হামলার বিচার প্রক্রিয়া এগুলো সম্পূর্ণ একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তারা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কথা বলতে এবং এর প্রেক্ষিতে কোনো মতামত দিতে দ্বিমত পোষণ করেন। এমনকি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ব্যাপারে বলেন, এর বিচারকার্যে প্রমাণিত হয়েছে- তারেকের সম্পৃক্ততা ছিল তার মানে সে দোষী; যা আইনতভাবে প্রমাণিত। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন- ‘আগে দুর্নীতির মনোভাব দূর করুন এবং নিজেদের দল ঠিকঠাক করুন। কিছুদিন পর পর নিজেদের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে বহিরাগতদের অবগত করা, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই হবে না’।
বিএনপি অনেক আশা নিয়ে বৈঠকে বসেছিল কিন্তু কোনো সুরাহা হলো না। উল্টো আরও বিএনপি বলেছে নিজেদের ভিতর সুরাহা করতে। সুতরাং বিএনপি নেতাকর্মীদের আরও ছোট হতে হয়েছে বিদেশী কূটনীতিকদের কাছে।