বান্দরবানঃ-বাংলাদেশে চলমান নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে নিজের ব্যক্তিগত অভিমত পোষণ করতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমান। সূত্র বলছে, আন্দোলনে দলীয় নেতা-কর্মীরা বেগ না পাওয়ায় এবং সরকারের দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপে ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে বাঁচিয়ে দেওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়েই ৬ আগষ্ট লন্ডন সময় সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২ টা) বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিষেদগার তৈরি করতেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন তিনি।
লন্ডন বিএনপি সূত্রে জানা যায়, চলমান শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে রাজনীতির আগুন ছড়িয়েও কোন লাভ খুঁজে পায়নি বিএনপি। অথচ এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে স্বার্থ উদ্ধারের জন্য উপযুক্ত সময় ছিল বিএনপির। খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন, দলীয় কোন্দল, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের মত ঘটনায় ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিএনপি। আন্দোলনের নামে ভয় পায় বিএনপি কর্মীরা। তাই এবার পয়সা বিনিয়োগ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দলীয় কর্মীদের নামায় বিএনপি। কিন্তু প্রতিবারের ন্যায় এবারো হিংসা ও ধ্বংসের আশ্রয় নেওয়ায় তাদের আন্দোলন আবারও ব্যর্থ হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন থেকে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের চিহ্নিত করে বের করে দেয়। সব কিছু মিলিয়ে বিএনপির প্রাপ্তির খাতা শুন্য। জল ঘোলা করে মাছ শিকারের অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেনি বিএনপি আজও। এবারও তারেক রহমান ও বিএনপির অশুভ মিশন ব্যর্থ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জ্বালাও-পোড়াও, ভাংচুর, এমনকি একটি দূতাবাস কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা চালিয়েও বিদেশি বন্ধুদের পাশে পায়নি বিএনপি। তাই মনের দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়ে অনেকটা অসহায় হয়েই বাংলাদেশ সময় গভীর রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের নামে মিথ্যা, গুজব ও অপপ্রচার ছড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন বিএনপির পলাতক নেতা তারেক রহমান। তবে গভীর রাতে তারেক রহমানের ভাষণ নিয়ে অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে খোদ বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মাঝে।
এই বিষয়ে বিএনপির উপেক্ষিত একজন সিনিয়র নেতা বলেন, গভীর রাতে মানুষকে বিরক্ত করার জন্য তারেক রহমানের কড়া সমালোচনা করেছেন দলটির নেতারা। সারাদিন সরকার বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম করে, নালিশ দিয়ে নেতারা ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত। সারাদিন পরিশ্রমের পর রাত জেগে তারেক রহমানের সাজানো মিথ্যা শোনার ইচ্ছা বা আগ্রহ বিএনপি নেতাদের নাই। মা খালেদা জিয়ার মত তারেক রহমানের গভীর রাতে বৈঠক, প্রেস ব্রিফিং, জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া বানোয়াট ভাষণ শোনার টাইম নাই নেতাদের। বাহিরের দেশে বেডরুমের শীতল পরিবেশে বসে সরকার পতনের আন্দোলনের নামে ভাষণ দেওয়া অনেক সহজ। সাহস থাকলে দেশে ফিরে রাস্তায় নেমে রাজনীতি করেন! রাস্তায় নেমে বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে, পুলিশের মার খেয়ে আন্দোলন করলে মানুষ আপনাকে নেতা মানবে। বাংলাদেশের মানুষ এতটা বোকা না। যৌক্তিক একটি আন্দোলনকে রাজনীতির জন্য ব্যবহার করাটা নিশ্চিতভাবে গ্রহণ করবে না মানুষ। গভীর রাতে ভাষণের নামে নালিশ করা মানুষ শুনবে না। অযথা মানুষকে বিরক্ত করার কোন মানে হয় না।