কমিটি নিয়ে যুবদল,ঢাকা মহানগর বিএনপিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া


প্রকাশের সময় :৫ জুন, ২০১৮ ১:৫১ : পূর্বাহ্ণ 761 Views

কাফি কামালঃ-আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলন ও নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সাংগঠনিক পুনর্গঠন শুরু করেছে বিএনপি। সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ঢাকা মহানগরসহ বিএনপির সাংগঠনিক জেলা এবং প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে প্রয়োজনীয় পুনর্গঠনের নির্দেশনা দিয়েছে দলটির নীতিনির্ধারক ফোরাম। তারই অংশ হিসেবে গত শুক্রবার ৩১টি জেলা ও মহানগর শাখার নতুন কমিটি অনুমোদন দেয় যুবদল। পরদিন ২৫টি থানা ও ৫৮টি ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন দেয় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। এ ঘটনায় বিএনপিতে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একদিকে পদবঞ্চিত, অবমূল্যায়নের শিকার নেতাকর্মীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে; অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর পুনর্গঠিত কমিটিতে স্থান পেয়ে উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা। নানা ধরনের অভিযোগ উঠলেও এবারের কমিটিতে পুনর্গঠনে প্রাধান্য পেয়েছে তারুণ্য নির্ভরতা।
একজন ভাগ্যবান পল
বিএনপির রাজনীতিতে একজন ভাগ্যবান নেতার নাম রেজাউল করিম পল। একটি সাংগঠনিক পদের জন্য দলটির নেতাকর্মীরা যখন রাজপথে প্রাণপাত করছেন তখন চমক দেখিয়েছেন পল। তার একই অঙ্গ তিন রূপ। একইসঙ্গে ঢাকা জেলা বিএনপি, জেলা যুবদল ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিনটি পদে আসীন তিনি। ঢাকা জেলা ছাত্রদলের এককালের সভাপতি রেজাউল করিম পল ২০১৬ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি ঘোষিত রাজীব আহসান-আকরামুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পান কেন্দ্রীয় সহসভাপতি পদ। ২০১৬ সালের ২৯শে আগস্ট গঠিত হয় ঢাকা জেলা বিএনপির নিউক্লিয়াস কমিটি। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি পদে থাকা অবস্থায় রেজাউল করিম পল দায়িত্ব পান ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদের। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার পরও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতির পদ ছাড়েননি তিনি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১লা জুন ঘোষিত ঢাকা জেলা যুবদলের নতুন কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে এক নেতা একপদ নীতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল দলীয় গঠনতন্ত্রে। যার প্রেক্ষিতে অনেক সিনিয়র নেতাও ছেড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বা জেলার যেকোনো এক পদ। সেখানে একজন মহাভাগ্যবান হলেন রেজাউল করিম পল। যিনি একই সঙ্গে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের মতো তিনটি আলাদা সংগঠনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন। বিগত ১লা জুন ঢাকা জেলা যুবদলের কমিটি ঘোষণার পর সভাপতি পদে পলের নাম দেখে চোখ কপালে উঠে তার অনেক রাজনৈতিক সহকর্মীর। এ ব্যাপারে যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন বলেন, সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে বলেই সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব রেজাউল করিম পলকে ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতির পদ দিয়েছেন।

এদিকে দীর্ঘ একযুগ পর যুবদলের কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ভোলায়। পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা শনিবার থেকে টানা বিক্ষোভে কেন্দ্রীয় নেতাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও কুশপুত্তলিকা দাহ, ঝাড়ু মিছিল ও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ওদিকে দীর্ঘ সাত বছর পর যুবদলের কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলে। পদবঞ্চিতরা শুক্রবার রাতেই নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের বাসার সামনে বিক্ষোভ ও দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করেন। অন্যদিকে বরগুনায় যুবদলের নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তালা মেরে দিয়েছে যুবদলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লার ভাই কামরুজ্জামান জাহিদ মোল্লাকে সভাপতি ও ভ্রাতুষ্পুত্র জাবেদুল ইসলাম জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয়েছে পকেট কমিটি। এদিকে বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের সদ্য ঘোষিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করে রোববার প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে বরিশালে। যুবদল নেতারা নতুন কমিটি প্রত্যাখ্যান ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় নতুন কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মনির হোসেন দেওয়ান ও যুগ্ম সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জেলা যুবদলের কমিটি নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। নবগঠিত কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছে বান্দরবান জেলা যুবদল। নতুন কমিটি প্রত্যাখ্যান করে রোববার দুপুরে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছে নীলফামারী জেলা যুবদল। সেই সঙ্গে নতুন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আখতারুজ্জামান জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আল নোমান পারভেজ কল্লোল কেন্দ্রে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিরঃ-ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পিছু ছাড়ছে না সংকট আর বিতর্ক। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলন-সংগ্রামের অংশ হিসেবে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে গত শুক্রবার যুবদলের ৩১টি জেলা ও মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের পর শনিবার রাতে ২৫ থানা ও ৫৮টি ওয়ার্ডের নতুন কমিটি ঘোষণা করে ঢাকা মহানগর বিএনপি। কিন্তু নতুন কমিটি ঘোষণার পর তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক ও সংকট। অভিযোগ উঠেছে দলের ত্যাগী, মামলা-হামলায় নির্যাতিত, কারাভোগকারী ও পোড় খাওয়া নেতাকর্মী বাদ পড়েছেন। কমিটিতে পদ পেয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মীয়স্বজন, কমিটি গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আত্মীয়স্বজন, সন্ত্রাসী, অনুগত, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী, দলিল লেখকসহ অখ্যাত ব্যক্তিরা। যাদের অনেকেই রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়, অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলেন। নতুন কমিটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাই অতীতে ছাত্রদল, যুবদল বা বিএনপির অন্য কোনো অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ঢাকা মহানগর উত্তরের অনেক সিনিয়র নেতাই এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। কেউ কেউ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। দলের দায়িত্বশীল নেতা, বিগত জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নেতা কিংবা মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের কোনো মতামত না নিয়ে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। ঢাকা মহানগর উত্তরের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে ‘পকেট কমিটি’ দেয়ার অভিযোগ করে এ নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তৃণমূলের পদবঞ্চিতরা। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা এসব তথ্য জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের দিয়েই কমিটি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর নতুন কমিটি পেয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত। বিএনপি একটি বড় দল। এ দলের অনেকেই পদ পেতে আগ্রহী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যারা প্রত্যাশা অনুযায়ী পদ পাননি তাদের উত্তরের নির্বাহী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ‘পকেট কমিটির’ বিষয়ে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্র্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

তেজগাঁও, শিল্পাঞ্চল, শেরেবাংলানগর ও রমনা থানায় যারা বিগত দিনে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম ও নির্যাতন ভোগ করেছেন ঘোষিত কমিটিতে তাদের ঠাঁই হয়নি। সাবেক কমিশনার মাহমুদুল হক মন্টু, গোলাম সারওয়ার কিরণ, তেজগাঁও থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল আহমেদের মতো অভিজ্ঞ আর ত্যাগী নেতাকেও কোথাও রাখা হয়নি। ঢাকা-১২ আসনে (তেজগাঁও, শিল্পাঞ্চল, শেরেবাংলানগর ও রমনা) বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সাহাবউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, এই কমিটি কোথা থেকে কিভাবে হয়েছে বুঝতে পারছি না। আমরা তৃণমূলের মতামতের মাধ্যমে যে কমিটি প্রস্তাব করেছিলাম ঘোষিত কমিটিতে তার ন্যূনতম প্রতিফলন নেই। সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে বৃহত্তর উত্তরার থানাগুলোতে। তুরাগ থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা আবদুল বাতেন, সাবেক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী জহির, রফিকুল ইসলামের মতো ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এ থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুইজনের বিরুদ্ধেই রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সমঝোতা করে চলার অভিযোগ। আবার উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন কমিটির সভাপতি হাজী মো. দুলালকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে নতুন কমিটিকেই প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, দলের ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতাদের পাশ কাটিয়ে ওই নেতারা তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য সুবিধাভোগী নেতাদের দিয়ে কমিটি গঠন করেছেন। আমি ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি। এ থানায় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পাওয়া কামাল পাশা ২০১৭ সালের ১৫ই আগস্ট শোক দিবস পালনের অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন।

রূপনগর থানা কমিটিতে আমজাদ মোল্লা, আলী আশরাফ রাজু, হাবীবুর রহমান হাবীবের মতো মামলা-হামলার শিকার ত্যাগী নেতারা মূল্যায়িত হননি। পল্লবীতে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা হিসেবে পরিচিত সাবেক কমিশনার আসাদ ও বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান সুমনকে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়নি। এদিকে বনানী থানা বিএনপির সভাপতির পদ পেয়েছেন গুলশান থানা শ্রমিক দলের সভাপতির ভাই আবুল কালাম আজাদ। এ থানার সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন সাবেক কমিশনার ও মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল আলিম নকির দুই ঘনিষ্ঠজন। গুলশান থানায় পদ পেয়েছেন মহানগর যুগ্ম সম্পাদক এজিএম শামসুল হকের আত্মীয়সহ দুই ঘনিষ্ঠজন। অন্যদিকে মিরপুর থানা কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) থেকে ২০১১ সালে বিএনপিতে যোগ দেয়া দলিল লেখক ওয়াজউদ্দিন মিয়া। তার বড় শক্তি তিনি মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসানের আপন খালাতো ভাই। সভাপতি পদ পেয়েছেন ৭৫ বছর বয়স্ক হাজী আবদুর রহমান। অথচ সেখানে বাদ পড়েছেন ১৪৮টি মামলায় বিপর্যস্ত ও কারা নির্যাতিত নেতা দেলোয়ার হোসেন দুলু ও ৩০টি মামলার শিকার হাজী আব্দুল মতিন। মূল্যায়ন পাননি ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাইদ, হাজী আবদুল মতিন, মুক্তিযোদ্ধা বাবুল আহমেদ, আবুল বাশারদের মতো ত্যাগী ও অভিজ্ঞ নেতারা। শহীদ কমিশনার সাইদুর রহমান নিউটনের ছোট ভাই ১৮টি মামলার আসামি ডা. মিল্টনকে বাদ দিয়ে এসএম কায়সার পাপ্পুকে দেয়া হয়েছে শাহ্‌ আলী থানা বিএনপির সভাপতি পদ। শাহ আলী থানা বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জুর পছন্দে সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা হুমায়ুন কবির রওশন।

দারুসসালাম থানা বিএনপির সহসভাপতি পদ পেয়েছেন বৃহত্তর মিরপুরের সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে এসএ সিদ্দিক সাজু। অথচ আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনিই ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রধান প্রার্থী। সেখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জুর পছন্দের লোক। দলের কর্মসূচিতে দৃশ্যমান না হলেও মিরপুর থানা বিএনপির সহসভাপতি পদ পেয়েছেন জি-মার্ট শপিং মলের মালিক জিএম মজিবুর রহমান। একইভাবে কাফরুলে মিরানা জামান, ভাটারায় মোহাম্মদ আলী, ওয়াহেদুজ্জামান মেম্বার, বনানীতে ইমাম হোসেন নুর, উত্তরখানে মমতাজ উদ্দিন ও সফুরদ্দিন মৃধা, দক্ষিণখানে ইসমাইল হোসেন, শিল্পাঞ্চলে মিজানুর রহমান সারোয়ার, আবদুস ছালেক, রহমতুল্লাহ, তেজগাঁওয়ে কুতুবউদ্দিন স্বপন, আবদুল মতিন, এসএম মমিনুল হকের মতো প্রতিটি থানা কমিটিতে বহু ত্যাগী ও নির্যাতনের শিকার নেতার ঠাঁই মেলেনি।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!