বান্দরবানে প্রয়াত শিল্পী সুবীর নন্দীর স্বরণে শিল্পী সমাজের শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী বান্দরবান জেলা কার্যালয়ের হল রুমে এই শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রবীণ শিল্পী দীপ্তি কুমার বড়–য়ার সভাপতিত্বে রাজেশ দাশের সঞ্চালনায় শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ। অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টির সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউটের কালচারাল অফিসার চ থুইপ্রু মার্মা,প্রবীণ শিল্পী থোয়াই চিং প্রু নিলু,মিলন ভট্টাচার্য্য,জাহাঙ্গীর আলম,মেনী প্রু,আমিনুল ইসলাম প্রামাণিকসহ বান্দরবানের বিভিন্ন শিল্পী গোষ্টির শিল্পিবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তারা সুবীর নন্দী স্মরণে এক মিনিট দাড়িঁয়ে নীরবতা পালন করেন ।
এসময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ বলেন ,৭ মে ২০১৯, মঙ্গলবার ৬৬ বছর বয়সে চলে গেলেন বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী। কেবল স্মরণসভাই মূল নয়, তাঁকে আমরা স্মরণ করব তাঁর কর্মময় সংগীতজীবন ও আমাদের সংগীত-প্রাসঙ্গিক জীবনচর্যার মধ্য দিয়ে। তিনি এসময় আরো বলেন,সঙ্গীতে অবদানের জন্য তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার। ১৯৭২ সালে ঢাকা রেডিওতে প্রথম রেকর্ডিং এর মধ্য দিয়ে গানের জগতে আসেন সুবীর নন্দী। ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। সিলেটে থাকতে শিখেছিলেন নজরুল সঙ্গীত। বেতার, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের প্লেব্যাকে তার অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে। চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের জন্য চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। গানের পাশাপাশি ব্যাংকে চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে গান গাইতে পছন্দ করতেন সুবীর নন্দী।
এসময় শিল্পী সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রয়াত সুবীর নন্দীর দীর্ঘ কর্মময় জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে এবং আগামী দিনে তার সংগীতকে বাঁচিয়ে রাখা ও নতুন প্রজন্মকে সুবীর নন্দীর সংগীত পরিবেশনের প্রতি আহবান জানান।