ক্লাস পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে বাবাকে ডেকে অপমান করায় তা সহ্য করতে না পেরে অরিত্রি অধিকারী (১৫) নামে রাজধানীতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার দুপুরে শান্তিনগরের ৭ তলার বাসায় অরিত্রি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে বিকাল ৪টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পল্টন থানা পুলিশ জানায়, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করে। তদন্তের পরই বলা যাবে, আত্মহত্যার কারণ কী।অরিত্রি অধিকারী ভিকারুন্নেসা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী একজন কাস্টসম (সিঅ্যান্ডএফ) ব্যবসায়ী। পরিবারের সাথে রাজধানীর শান্তিনগরে থাকতো সে।তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়।অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, অরিত্রির বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার স্কুলে পরীক্ষার সময় তার মেয়ে মোবাইল নিয়ে গিয়েছিল। মোবাইলে নকল আছে এমন অভিযোগে ওই স্কুলের শিক্ষক সোমবার তাদের স্কুলে আসতে বলেন। সোমবার পরীক্ষার সময় অরিত্রির সঙ্গে তারা স্কুলে যান। পরে তাদের ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে নিয়ে গেলে তারা মেয়ের নকল করার ব্যাপারে ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু ভাইস প্রিন্সিপাল কিছু করার নেই বলে তাদের প্রিন্সিপালের রুমে যেতে বলেন। সেখানে গিয়েও তারা ক্ষমা চান। কিন্তু প্রিন্সিপালও তাতে সদয় হননি। পরে তার মেয়ে প্রিন্সিপালের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলেও তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন এবং পরের দিন টিসি নিয়ে আসতে বলেন। এ সময় আমি মেয়ের সামনেই কেঁদে ফেলি। অরিত্রি হয়তো আমার ওই কান্না-অপমান মেনে নিতে পারেনি।অরিত্রির বাবার অভিযোগ, প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করায় তার মেয়ে দ্রুত বাসায় চলে যায়। বাসায় ফিরে সে তার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। বাহির থেকে অনেক ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায়, দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।এ বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.