২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে স্মরণকালের প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং এ সংক্রান্ত গুঞ্জন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ব্যাধি থেকে মুক্তি পাচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসের গুঞ্জন ও প্রশ্ন ফাঁসকারীদের তৎপরতা রুখে দেয়া যাবে না বলে সমালোচনাকারীদের সমালোচনা ভুল প্রমাণ হচ্ছে। কেননা, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত কোন প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। আর এই পদক্ষেপ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর থেকে এই অবক্ষয় রোধে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। যেহেতু প্রশ্ন ফাঁস একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হওয়ার পথে ছিলো, তাই সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করেছিল যে, যেকোন উপায়েই শিক্ষা ব্যবস্থার এই অবক্ষয় রোধ করা হবে। সেই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় তা শতভাগ সফলতার মুখ দেখেছে চলতি বছরের প্রথম বোর্ড পরীক্ষা এসএসসিতে। অবস্থান ধরে রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলেই বদ্ধপরিকর।
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও গুঞ্জন রোধে সরকারের পদক্ষেপগুলো প্রশংসিত হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ডিজাইন, প্রশ্নপত্র বিতরণে ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহারসহ শিক্ষা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর নিয়মিত মনিটরিং করায় এ বিষয়ে সজাগ ভূমিকা পালন করছেন সকলে। এর ফলে এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে শতভাগ সফল হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সরকার।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি এবং সাহসিকতায় একে একে গ্রেফতার হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যরা। এখন পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের দেড় শতাধিক সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে, সরকারের বিশেষ নজরদারির কারণে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা না ঘটায় স্বস্তিতে পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা।
এদিকে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই প্রশ্নপত্র ফাঁস নামক সামাজিক ব্যাধি মোটামুটি নির্মূল হয়েছে সমাজ থেকে। রক্ষা পেয়েছে আমাদের শিক্ষাখাত। তবে সমাজ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস, নকলের মতো সামাজিক ব্যাধিসমূহ পুরোপুরি নির্মূল করতে হলে সরকারের পাশাপাশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সোচ্চার হতে হবে। তবেই এই সামাজিক ব্যাধি থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি মিলবে এবং মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করা যাবে নতুন প্রজন্মকে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.