বান্দরবান অফিসঃ-একটি দেশের টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব, যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ও মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটে- এই প্রতিপাদ্যকে মাথায় রেখে দেশে মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে গত দশ বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। শিক্ষার প্রসার ও জনগণকে শতভাগ শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার।
সামষ্টিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার বিকল্প নেই। বর্তমান সরকারও সেই বিষয়টি উপলব্ধি করে উন্নয়নের সিঁড়ি হিসেবে শিক্ষাকেই বেছে নিয়েছে এবং তদানুযায়ী পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার তার শাসনকালে শতভাগ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার সাফল্য দেখিয়েছে। আজ থেকে ৯ বছর পূর্বে প্রাথমিকে শতকরা ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির রেকর্ড ছিল। কিন্তু বর্তমানে শতভাগ শিশু স্কুলে যাচ্ছে। সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের কারণেই দেশ উত্তরোত্তর সাফল্য ও সফলতার দিকে এগিয়ে চলেছে।
শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে বাংলাদেশ ছুঁয়েছে নতুন মাইলফলক। বাংলাদেশে শিক্ষায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো।
প্রাথমিকের সঙ্গে সঙ্গে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষায়ও সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো আলোর মুখ দেখেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর নিমিত্তে সরকার আধুনিক সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পুরো ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাকে আরও সহজতর ও আধুনিক করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি স্কুলে আইসিটি ল্যাব চালু হচ্ছে। কম্পিউটার কোর্সকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার লক্ষ্যে ছেলে মেয়েদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার প্রয়াসে আইসিটি মেলা ও বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হচ্ছে স্কুলভিত্তিক। সংস্কৃতির কার্যক্রমকে বিকশিত করার লক্ষ্যে স্কুলভিত্তিক প্রোগ্রাম চালু হয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যেও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মাদ্রাসা কাঠামোতে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শাখা চালু করা হয়েছে। স্থাপিত হয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুষ্ঠু তদারকির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রম। গবেষণা খাতে বিশেষ গুরুত্ব আরোপের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ পরিচালিত হচ্ছে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেছে। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আর সেশন জটের নজির দেখা যায় না। মসৃণ গতিতে চলছে উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও এখন আর সেশনজট নেই বললেই চলে। নিয়মিত ভর্তি পরীক্ষা, ক্লাস, পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।