মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা: জেনে নিন করণীয়


সিএইচটি টাইমস অনলাইন প্রকাশের সময় :১২ অক্টোবর, ২০১৯ ৯:৪৩ : অপরাহ্ণ 594 Views

আগামী ১১ অক্টোবর (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি ইচ্ছুক মোট আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজার ৮০১ জনে। আসন্ন এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নফাঁস ও প্রশ্নফাঁস গুজব রুখতে ইতোমধ্যেই বিভিন্নভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বাস্থ্য অধিদফতর। বাংলার আলোর আজকের আয়োজনে জেনে নিন একজন ভর্তিচ্ছুকে যেসব বিষয়গুলো মেনে চলা জরুরি।
পরীক্ষার আগের দিন করণীয়ঃ
মূল পরীক্ষার আগে প্রিপারেশন শেষ করা জরুরি। পরীক্ষার ঠিক আগের দিনটিতে বেশি পড়ালেখা করার কোনো দরকার নেই। রিলাক্স মুডে থাকবে। নিজের সিট কোথায় পড়ল, সেটা একবার দেখে আসাটা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, পরীক্ষার দিন সকালে তাহলে আর টেনশনে পড়তে হবে না। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন বলপয়েন্ট কলম, পেনসিল, ইরেজার, প্রবেশপত্র ফাইলে গুছিয়ে রাখতে হবে। নিয়মানুযায়ী কোন প্রকার ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে নেয়া যাবেনা। কাজেই এই ধরণের কোন ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবেনা। ফাইলে শুধুমাত্র প্রবেশ পত্র ব্যাতিত যেন অন্য কোন অতিরিক্ত কাগজ না থাকে সেটি অবশ্যই দেখে নিতে হবে।
পরীক্ষার দিন করণীয়ঃ
১. যেখানে সিট পড়েছে, সেই হল খুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবেশ করবেন। ধীরস্থির হয়ে বসে টেবিলে রেখে পরীক্ষক প্রশ্নপত্র দেয়ার পর সাবধানে নির্ধারিত ঘরগুলো পূরণ করতে হবে।
২. প্রশ্ন যতই কঠিন হোক না কেন ভয় পাওয়া যাবে না। আগে প্রশ্নটা ভালোভাবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন তারপর যেগুলো পারো সেগুলো উত্তর করবেন। কারণ প্রশ্ন দেখে ভয় পেলে নার্ভাসনেস এর জন্য পরে আর পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
৩. মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ মিনিটের মধ্যে ১০০টা এমসিকিউ দাগাতে হবে। তার মানে প্রতি প্রশ্নের জন্য ০.৬ মিনিট মানে ১ মিনিটের কম সময় পাওয়া যাবে, এর মাঝে ওএমআর শিট ফিলআপ, এটেডেন্সে সাইন করা এই ৬০ মিনিটের ভিতর করতে হবে।
৪. প্রথমে পুরো প্রশ্নটা ভালো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো ভাবে পড়বেন তারপর যে প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা সেগুলো উত্তর করবেন, তারপর যেগুলো একটু কনফিউশন থাকে মানে ৫০/৫০ তাহলে এইগুলো দাগানোর চেষ্টা করবেন।
উল্লেখ্য, এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সবরকম বিশৃঙ্খলা এড়াতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ইতোমধ্যেই চলতি মাসের ১ তারিখ থেকেই দেশের সকল মেডিক্যাল কোচিং সেন্টার সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্ন ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট পেজ-গ্ৰুপ এবং আইডি সমূহকে তালিকাবদ্ধ করে নিয়মিতভাবে করা হচ্ছে মনিটরিং। পরীক্ষার্থী, অভিভাবক সহ পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রয়েছে বিশেষ নজরদারি। সাম্প্রতিক সময়ে গুজবকে কেন্দ্র করে দেশে বেশকিছু বিশৃঙ্খলা ঘটায়, পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গুজব মোকাবেলাও প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!