সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বান্দরবান সরকারী কলেজের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ঘর নির্মানের অভিযোগ করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার দুপুরে বান্দরবান সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ বান্দরবান সদর থানায় এ অভিযোগ করেন।
সাড়ে নয় একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত বান্দরবানের সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বান্দরবান সরকারী কলেজ। সম্প্রতি কলেজ কর্তৃপক্ষ বর্ষার মৌসুমে আমের চারা রোপন করার জন্য কলেজের পতিত জায়গায় জঙ্গল পরিষ্কার করে গর্ত করে। সেখানে পার্শ্ববর্তী মংক্যশৈ নেবী জায়গাটি তার দাবী করে দখলের চেষ্টা চালায়। এর প্রেক্ষিতে কলেজের প্রিন্সিপাল তাকে কাগজপত্র নিয়ে শনিবার বৈঠকে বসার কথা বলেন। কিন্তু সে বৈঠকে না বসেই জায়গাটি তার দাবী করে জোরপূর্বক লোকজন দিয়ে রাতারাতি ঘর তৈরী করে। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে নিষেধ করার পরও সে কর্ণপাত না করে নির্মানকাজ চালিয়ে যায়। শুক্রবার দুপুরে কলেজ র্কতৃপক্ষ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। অবশ্য নির্মানাধীন ঘর ও তৈরীর যাবতীয় জিনিসপত্র পরিলক্ষিত হয় বলে জানান সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর জিয়া। উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বান্দরবান সরকারী কলেজ ছাত্র লীগের আহবায়ক নাজমুল হোসেন বলেন, মংক্যশৈ যদি জায়গার মালিক হয় তবে সে কাগজপত্র নিয়ে প্রিন্সিপালের সাথে বসে সমাধান করুক। কিন্তু কলেজের জায়গার উপর জোরপূর্বক ঘর নির্মান, এটা খুবই অন্যায়। কলেজের ছাত্ররা এটা কখনো মেনে নিবে না।
বান্দরবান কলেজের সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমাদের কলেজের সাড়ে ৯ একর জায়গা রয়েছে। কলেজের পতিত জায়গায় আমরা আমের চারা রোপনের জন্য জায়গাটি পরিস্কার করি। পার্শ্ববর্তী মংক্যশৈ জায়গাটি তার জায়গা বলে দাবী করে। এ বিষয়ে তাকে জায়গার কাগজ নিয়ে প্রিন্সিপাল স্যারের সাথে বৈঠকের কথা বলা হয়। কিন্তু তিনি বৈঠকের আগেই জোরপূর্বক ঘর নির্মান শুরু করে দেন। যদি আইনীভাবে উক্ত জায়গাটি তিনি প্রাপ্য হন, তাহলে আমরা তাকে জায়গা ছেড়ে দেব। তবে সরকারী কলেজের জায়গায় অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ উচ্ছেদের দাবী জানান তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত মংক্যশৈ বলেন, কলেজের প্রিন্সিপালের সাথে আমার কথা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা উভয়পক্ষ কাগজপত্র নিয়ে শনিবার বৈঠকে বসবো।