এইচএসসি ফলাফলে পাশের হারে শীর্ষে লামার কোয়ান্টাম কসমো কলেজ।তবে জিপিএ- ৫ এ এগিয়ে আছে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ।এবার কোয়ান্টাম কলেজ থেকে ৭৫ জন পরিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে এবং সবাই কৃতকার্য হয়। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯ জন।
গত বছরের তুলনায় পাশের হারও বেড়েছে এ কলেজে।এদিকে প্রতিবছর শীর্ষে থাকলেও এবছর পাশের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ক্যান্টঃ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ।এ কলেজ থেকে এবার ২৪৬জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২৩৩ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ জন।
কলেজটিতে এবার জিপিএ ৫ বাড়লেও গতবছরের তুলনায় পাশের হার কমেছে।তবে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ফলাফলে পিছিয়ে রয়েছে জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বান্দরবান সরকারি কলেজ।এ কলেজ থেকে ৮৩৯ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪১৩ জন।জিপিএ ৫ পায়নি একজনও।
এদিকে জেলা সদরের অন্যান্য কলেজ গুলোর মধ্যে মহিলা কলেজে ৬৩১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২৮১ জন,জিপিএ ৫ পেয়েছে একজন।
কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে ৩৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩২ জন,লামা মাতামুহুরী কলেজে ৬৩৬ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পাশ করেছে ৩৮৪ জন,রুমা সাঙ্গু কলেজে ৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৮ জন এবং নাইক্ষ্যংছড়ির হাজী এম.এ কালাম কলেজে ২৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৯৭ জন।
বান্দরবান ক্যান্ট: পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্ণেল রেজাউল করিম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার কমেছে।এখানে যারা ভাল রেজাল্ট করে তারা বেশীর ভাগই বাইরে চলে যায়।তাই ভর্তির সময় আমরা ভাল ছাত্র ছাত্রী পাই না।এছাড়াও এবার পরীক্ষার খাতাও একটু কড়াকড়ি ভাবে কাটা হয়েছে যার কারনে সারা দেশেই এবার ফলাফল খারাপ হয়েছে।
বান্দরবান সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মোকছুদুল আমীন বলেন,পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় এখানকার বেশীর ভাগ ছাত্র ছাত্রীরা নিজেরা টিউশনি করে পড়াশুনা করে।তাই ক্লাসের বাইরে তারা পড়াশুনায় অতিরিক্ত সময় দিতে পারে না।এছাড়া অনেক স্টুডেন্ট নিয়মিত ক্লাস না করার কারনে খারাপ করেছে।
উল্লেখ্য,এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বান্দরবান জেলা থেকে ২৭৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে এর মধ্যে পাশ করেছে ১৬৪২ জন।মোট জিপিএ- ৫ পেয়েছে ২২জন।জেলায় পাশের হার ৫৯.৭১।