চলমান কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত পরীক্ষাগুলোর সকল প্রশ্নপত্র দেওয়ার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এক অভিনব প্রতারক চক্রের আর্বিভাব ঘটেছে। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন নামে গ্রুপ পেজ ওপেন করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সকল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়া যাচ্ছে বলে গুজব ছড়াচ্ছে। তাই প্রশ্নফাঁসের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সর্বোচ্চ নজরদারি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আর ফেসবুকে প্রশ্নফাঁসের নামে প্রতারণা বিষয়েও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে। যে কোন মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকা এই প্রতারক চক্রটি।
সূত্র বলছে, ফেসবুকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নফাঁসের কথা বলে একটি প্রতারক চক্র ২৭ জুন রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে। চক্রটি টাকার বিনিময়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নফাঁসের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভুয়া প্রশ্ন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার মতো অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারিগরিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা, মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা এবং চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চালিয়ে আসছে একটি চক্র। এই প্রতারক চক্রগুলো মূলত ভুয়া প্রশ্ন দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। বিগত কিছুদিন আগে চক্রটির একটি অংশকে আমরা গ্রেফতার করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই অপর অংশটিকেও আইনের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে প্রশ্নফাঁসের এই চক্রটির বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতারক চক্রের প্রলোভনে যেসব শিক্ষার্থী প্রশ্ন নেয়ার চেষ্টা করছেন তারা মূলত প্রতারণার জালে পা দিচ্ছেন। কারণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আগের চেয়ে অনেক সতর্ক এসব বিষয়ে। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই প্রশ্নফাঁসের এই চক্র থেকে আরো সাবধান হতে হবে। ভুয়া প্রশ্নের আশায় বসে থেকে সময় নষ্ট করলে জীবন থেকে হারিয়ে যেতে পারে মূল্যবান সময়। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে ৫০০- ৩০০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে ভুয়া প্রশ্ন দিচ্ছে এই চক্রটি। যে ফাঁদে ইতোমধ্যে অনেকে পা দিয়েছেন বলে অভিযোগ আসছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এই প্রশ্নফাঁস চক্রের প্রতারণার বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.