ফেসবুকে পবিত্র রমজান মাস নিয়ে কটূক্তি করায় নগরের বন্দর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তার শেলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।এছাড়াও আরেকটি চিঠিতে কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মর্জিনা খানমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত চিঠিতে তার বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যেহেতু, আপনি ফেসবুকে পবিত্র রমজান মাসের আরবি উচ্চারণ ‘রামাদান’-কে কটাক্ষ করে পোস্ট দেন।
উক্ত পোস্টের প্রেক্ষিতে অসংখ্য মানুষ আপনার পোস্টের মন্তব্যে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া জানায়। আপনার পোস্টে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভেতরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে এবং বন্দর এলাকায় এর প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ আয়োজনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক উসকানিসহ সরকারকে অস্থিতিশীল ও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আরও বলা হয়, এই কার্যক্রম ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮ এর ২৮ ও ৩১ ধারা মোতাবেক দণ্ডযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নীতিমালা-২০১৯ এর বিধি ৬ দশমিক ২ ও বিধি ১০ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং চবক চাকরি প্রবিধানমালা-১৯৯১ এর ৩৯ (খ) মোতাবেক সুস্পষ্ট অসদাচরণ ও গুরুদণ্ডযোগ্য অপরাধ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মোকাদ্দমা রুজু করা হয়েছে।
এতে আরও জানায়, বিভাগীয় মোকাদ্দমা সুষ্ঠুভাবে তদন্তের স্বার্থে তিনি সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন এবং এই সময়ে বিধি অনুযায়ী তিনি বেতন-ভাতা পাবেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মমিনুর রশিদ বলেন, তাকে শোকজ করে লিখিত জবাব চাওয়া হবে; কেন তিনি এই রকম গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এমন একটি পোস্ট ফেসবুকে দিয়েছেন। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করছি।