সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম দুশ্চিন্তা এবং হুমকির নাম ছিল প্রশ্নফাঁস। যেকোনো পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ফাঁসের আশঙ্কা ভর করতো শিক্ষার্থীদের মাথায়। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অবশেষে প্রশ্ন ফাঁস নামক সামাজিক ব্যাধি থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষা খাত। আর তা সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে। প্রশ্নফাঁসের মতো ভয়াবহ সামাজিক অভিশাপের তৎপরতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়।
বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস মহামারি আকারে দেখা দেওয়ার পর গত এইচএসসি পরীক্ষায় এ বিষয়ে নতুন করে কড়াকড়ি শুরু হয়েছিল। ফলশ্রুতিতে গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষা কোনো প্রকার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছিলো। নতুন শিক্ষামন্ত্রী আসার পর প্রশ্নফাঁস বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সেই ধারাবাহিকতা আবারো সফলতার মুখ দেখেছে। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ছাড়াই শেষ হতে চলেছে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এ বিষয়ে নিজের এবং সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলে আসছিলেন ডা. দীপু মনি। তিনি শুধু কথাতেই থেমে থাকেননি, কাজেও পরিণত করেছেন। কারণ, প্রশ্নফাঁস বন্ধে এ পর্যন্ত সারা দেশে প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের প্রায় দেড় শতাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে ৩০টিরও বেশি কোচিং সেন্টারকে।
জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে র্যাব প্রধান জানিয়েছিলেন, ‘র্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে তথ্য সংগ্রহ করে তৎপর রয়েছে। প্রত্যেকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিংয়ে র্যাবের সক্ষমতা রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি সাইবার পেট্রোলিং ও আন্ডারকভার অপারেশন চলমান রয়েছে।’
এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের ভেতর পরীক্ষার্থী ব্যতীত জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রশ্নফাঁস বন্ধে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে নানা ধরণের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এমনই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেছেন, ‘আমরা নকল ও প্রশ্নফাঁস মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা শেষ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। সারাদেশে নকল মুক্ত পরীক্ষা আয়োজনে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আগের চেয়ে এবার আমরা আরও কঠোর অবস্থানে রয়েছি।'
প্রকৃতপক্ষে সরকারের নেওয়া এসব পদক্ষেপের সুফল পেয়েছে দেশবাসী। পাশাপাশি এই প্রশ্নফাঁস রোধে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতনতাও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। প্রশ্নফাঁস নেমে এসেছে শূন্যের কোটায়, স্বস্তি ফিরেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.