এ বছর নতুন করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ২ হাজার ৫১টি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ৬৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ এবং ‘শেখ জামাল ডরমেটরি ও রোজী জামাল ডরমেটরি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে একটা ভালো খবর দিতে যাচ্ছি, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সব তিনি সরকারিকরণ করেছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পরে আবার আমরা আরও প্রায় ৩৬ হাজার স্কুল সরকারিকরণ করে দিয়েছি। তাছাড়া আমরা এমপিওভুক্ত করে দিচ্ছি। প্রায় সারাদেশে বেসরকারি উদ্যোগে যেসব বিদ্যালয়গুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—এগুলোর যে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, সেগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন সময় আমরা প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীদের সংখ্যা, পরীক্ষার রেজাল্ট, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এসব কিছু আগে বিবেচনা করা হয়। মানসম্মত যেগুলো সেগুলোর জন্য আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিই। সব সরকারি না করেও সেখানকার শিক্ষক-কর্মচারী যাতে সরকারের কাছ থেকে বেতন পায় সেই ব্যবস্থাটা নিই, ইতোমধ্যে আমরা ২৬ হাজার ৪৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছি। ২০১৯ সালে মোট ২ হাজার ৬৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমরা এমপিওভুক্ত করেছিলাম।
আমি আজকে ঘোষণা দিচ্ছি, এ ব্যাপারে আমাদের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এ বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় নতুন ২ হাজার ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬৬৬টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ১২২টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ১৩৬টি, উচ্চ মাধ্যমিক ১০৯টি, ডিগ্রি কলেজ ১৮টি। তাছাড়া আমরা প্রত্যেকটি উপজেলায় একটা করে কলেজ আর একটা করে স্কুল ইতোমধ্যে সরকারিকরণ করে ফেলেছি। একইভাবে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ৬৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে এসএসসি ভোকেশনাল/দাখিল ভোকেশনাল ৯৭টি, এসএসসি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলোজি ২০০টি, ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার ২টি, দাখিল মাদ্রাসা ২৬৪টি, আলিম মাদ্রাসা ৮৫টি, ফাজিল মাদ্রাসা ৬টি, কামিল মাদ্রাসা ১১টি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় উভয় বিভাগের আওতায় ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির ঘোষণাটি আসার কথা ছিল গত মার্চে। এরপর বলা হয় মে মাসে। অবশেষে জুলাই মাসের শুরুতে এসে এমপিওভুক্তির ঘোষণা এলো।
এর আগে গত ৩ জুন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ‘যখন এমপিওভুক্তির ঘোষণা আসবে, তখন থেকে শিক্ষকরা এই সুবিধা পাবেন। এক সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা দেওয়া হলে এই অর্থবছরের বাজেট থেকেই শিক্ষকরা এমপিও সুবিধা পাবেন।’শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয়করণের কাজ বেশ এগিয়েছে। এই বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে আশা করছি।