চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে বই মুদ্রণের কাজ,১ই জানুয়ারি বই উৎসব


সিএইচটি টাইমস অনলাইন প্রকাশের সময় :৬ নভেম্বর, ২০১৯ ৫:৫৩ : অপরাহ্ণ 578 Views

আগামী শিক্ষাবর্ষে (২০২০-২১) বিনামূল্যের ৩৫ কোটি ৩১ লাখ পাঠ্যবই পাবে সারা দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৪ কোটি ২৭ লাখ ৫২ হাজার শিক্ষার্থী। ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা হাতে পাবে ঝকঝকে নতুন পাঠ্যবই। নতুন বইয়ের সোঁদা গন্ধে মাতোয়ারা শিশুরা উল্লাস করে ফিরবে বাড়িতে। তাদের জন্য সাড়ে ৩৫ কোটি পাঠ্যবই প্রস্তুতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে এনসিটিবি। এরই মধ্যে অধিকাংশ বই ছাপা হয়ে পৌঁছে গেছে জেলা ও উপজেলায়। বাকি বই ছাপার কাজ চলছে দুর্বার গতিতে।

বরাবরের মতোই আগামী বছরের পহেলা জানুয়ারি শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে সারাদেশে উদযাপিত হবে পাঠ্যপুস্তক উৎসব। ওই দিন শিশুরা খালি হাতে স্কুলে গিয়ে নতুন ক্লাসে উঠে ঝকঝকে বই নিয়ে ফিরবে বাড়িতে। বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে সময়মতো তাদের হাতে বই তুলে দিতে। গভীর রাতেও প্রিন্টিং প্রেসগুলোর মেশিনের আওয়াজ পাচ্ছেন আশপাশের মানুষ। সারাদেশের প্রায় ৪০০ মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানে রাত জেগে ৯৮ হাজার কর্মী পাঠ্যবই ছাপা, কাটিং ও বাইন্ডিংয়ের কাজে জড়িত হয়েছেন। এসব বই ছেপে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দিতে কাজ করছে ১৬ হাজার ৪০০ ট্রাক। দেশজুড়ে পাঠ্যবই মুদ্রণ ও পরিবহন কাজের তদারক করছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ২২টি টিমের ৬৬ কর্মকর্তা। এর বাইরেও এনসিটিবির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মনিটরিং টিম, এনসিটিবির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম মিলিয়ে আরও ২১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী এই মহাযজ্ঞে শ্রম দিচ্ছেন।
২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকার ধারাবাহিকভাবে সাফল্যের সঙ্গে নতুন বছরের শুরুতেই সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে আসছে। চলতি ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ২৯৬ কোটি সাত লাখ ৮৯ হাজার ১৭২টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রতিবছর সরকারের বিশাল এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করছে, যা সারাবিশ্বে নজরকাড়া সুনাম বয়ে এনেছে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেবার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হয়। পদক্ষেপসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো- শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেবার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত চালু করা হয়েছে উপবৃত্তি ব্যবস্থা। বর্তমান ২৬ হাজার ১৯৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে জাতীয়করণ করেছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ করা হয়েছে। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর শতকরা হার ছিল ৬১, বর্তমানে তা উন্নীত হয়েছে শতকরা ৯৭.৭ ভাগে। শিক্ষার সুবিধাবঞ্চিত গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে “শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ প্রণয়ন করা হয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!