এইচ এস সি পরীক্ষা ২০১৯,নেই প্রশ্নফাঁসের শঙ্কা


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩১ মার্চ, ২০১৯ ১২:৪৫ : অপরাহ্ণ 638 Views

আসন্ন ২ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। গত দুই বছর এসএসসি ও এইএইচএসসি পরীক্ষার সময় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সম্পূর্ণ প্রশ্নফাঁস মুক্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশ্নফাঁসের চেষ্টায় জড়িতদের গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়েছে আইনের আওতায়, আইন অমান্য করে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচিং সেন্টার খোলা রাখায় সারা দেশে ৩০টিরও বেশী কোচিং সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে। ফলশ্রুতিতে দূর হয়েছে প্রশ্নফাঁসের শঙ্কা।
এরই ধারাবাহিকতায় এবারও প্রশ্নফাঁসের যেকোনো ধরণের অপচেষ্টা কিংবা গুজব রুখতে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সারা দেশে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত কোনো শিক্ষার্থী চিহ্নিত হলে প্রথমে বহিষ্কার করা হবে। এরপর সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে পাঠানো হবে কারাগারে।
এক্ষেত্রে জড়িত চিহ্নিত অভিভাবকও রেহাই পাবেন না। ফাঁস এবং নকলে সহায়তার দায়ে জড়িত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হবে। এমনকি প্রশ্নফাঁসে কোনো ‘মূল হোতা’ চিহ্নিত হলে ক্রসফায়ার দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মি‌নিট আগে পরীক্ষার্থী‌দের পরীক্ষার হ‌লে গি‌য়ে আসন গ্রহণ করতে হবে। এবারও শুরুতে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশ এবং পরে রচনামূলক অংশের পরীক্ষা হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার সময় আড়াই ঘণ্টা। এমসিকিউ এবং সৃজনশীল অংশের মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা রয়েছে সেগুলোর ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সময় ২৫ মিনিট এবং সৃজনশীল অংশের জন্য ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরীক্ষার্থীরা সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। তবে প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসি জনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ধরণের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পলসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় ও পরীক্ষার কক্ষে অভিভাবক বা শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে।
প্রশ্নফাঁসের কোনো শঙ্কা না থাকায় পরীক্ষা নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2024
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!