২ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা-২০১৯। বিগত সময়ের ন্যায় এবারও পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অন্তত ডজনখানেক নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এসব উদ্যোগে ভূয়া প্রশ্নফাঁস ঠেকানোর পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নটি যে সুরক্ষিত থাকবে মোটামুটি সেই গ্যারান্টি দেয়া যায় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
প্রশ্নফাঁস রোধের স্বার্থে কোন পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হবে সে বিষয়েও কোন পূর্ব ধারণা দিতে চাননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এমনকি উক্ত কাজে কাদের সংশ্লিষ্ট করা হচ্ছে সে বিষয়েও পরিষ্কার ধারণা দিতে পারেনি কেউ। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, ডিজিটাল ও আংশিক এনালগ পদ্ধতির সংমিশ্রণে এবারের পরীক্ষা নেয়া হবে যা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবার কথা রয়েছে।
সূত্র মতে, একাধিক প্রশ্নপত্র ডিজিটাল সিস্টেমে দেয়া থাকবে যা নির্দিষ্ট সময়েই পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। এমনকি পরীক্ষার জন্য যে প্রশ্নটি দেয়া হবে তা কোন মানুষ দ্বারা নির্ধারিত হবে না। প্রশ্নপত্রের সকল সেট পরীক্ষাকেন্দ্রে যথাসময়ে সরবরাহ করা হবে এবং একাধিক সেটই পরীক্ষার্থীরা দেখতে পাবে তবে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষার ঘণ্টা বাজার পরেই পরীক্ষাকেন্দ্রে স্থাপিত ডিজিটাল ডিভাইস বা সিস্টেমের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা কোন সেটে পরীক্ষা দেবে তা জানতে পারবে। আর এটি লটারি পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে স্থাপিত ডিজিটাল সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেকোন সেট নির্ধারণ করবে যথাসময়ে। ফলে প্রশ্নপত্রের সকল সেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কয়েক মিনিট আগে দেখতে পারলেও প্রশ্নপত্র নির্ধারণটা একদম পরীক্ষার সময় শুরু হলে জানা যাবে বলে তা আর এক মিনিট আগেও ফাঁস হবার সুযোগ থাকছে না।
আর একারণেই পরীক্ষার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়া বা কোন মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পেলেও তা হবে সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিমূলক ও প্রতারণার শিকার, যা অতীতেও হয়েছে। কেননা, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত গ্রেফতারকৃত বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে জানা গেছে, ফেসবুকে সঠিক প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি একেবারেই ভুল। ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা দেশের ভালো ভালো শিক্ষকদের অনেকগুলো সাজেশন এক করে, তারপর এটাকে পরীক্ষার প্রশ্ন বলে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এভাবে পরীক্ষার্থীরা বারবার প্রতারিত হয়েছে।
তাই এবার আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় এমন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্নপত্র থেকে সাবধান থেকে প্রতারিত না হবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কারণ, পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার এক মিনিট আগেও কারো পক্ষেই সঠিক প্রশ্নপত্রটি জানার সুযোগ আর থাকছে না।