বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
সূত্র বলছে, এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। অপরাধী যে দল-মতের হোক না কেন, হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে চায় সরকার। বিষয়টি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যবেক্ষণ করছেন।
আবরার হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে আটকৃতরা হলেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ছাত্রলীগ নেতা রবিন, মুন্না, তানভীরুল আরেফিন ইথান, অমিত সাহা, আল জামি।
এদিকে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাধী যে-ই হোক, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অপরাধীদের কোনো স্থান নেই।
এ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। জড়িতদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে।
গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, আবরার ফাহাদকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বহিষ্কৃত ১১ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি। কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ বহিষ্কৃত ১১ জনের বাহিরে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটি সুপারিশ করবে বলে জানান ।
বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের নিচতলার সিঁড়ির উপর থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। বুয়েটে লেখাপড়াকালীন সময়ে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টিও এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তবে শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল ধরণের অন্যায়-অবিচার ও অনিয়ম দূর করতে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর সরকার।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কে কোন দলের এসব বিবেচনায় আসবে না।
'
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.