

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ- ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে বান্দরবানের লামা,আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্যে জানাগেছে,তিন উপজেলায় পাঁচ হাজারের অধিক বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। একই ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে গাছ-পালা ও বিদ্যুতের খুটি। লামা,আলীকদম ও চকরিয়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা সদরের আভ্যন্তরীণ যোগাযোগও ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে।লামা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী মোঃওলিউল ইসলাম জানান,ঝড়ো হাওয়ায় গাছ-পালা ভেঙ্গে ও উপড়ে পড়ে ৩৩ কেবি ৮টি ও ১১ কেবি ৩০টি স্টীলের খাম্বা ভেঙ্গে গেছে।সড়ক যোগাযোগ না থাকায় বিদ্যুতের ব্যপক ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি নিরুপণ করা সম্ভব হচ্ছে না।তবে বিদ্যুতের বিভিন্ন লাইনের অবস্থা খুবই নাজুক।বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদস্য মোঃ মোস্তফা জামাল জানিয়েছেন,ঝড়ো হাওয়ায় প্রাণ হানির ঘটনা না ঘটলেও বিভিন্ন ইউনিয়নের অসংখ্য বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।মৌসুমী ফসলসহ বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
দরদরী,বৈল্যারচর,ছাগলখাইয়া,শিলেরতুয়া,ফাঁসিয়া খালী,ফাইতং ও মেরাখোলায় বাড়ি-ঘর সহ মসজিদ ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্থ হয়েছে।রুপসী পাড়া ইউনিয়নের মেম্বার আবু তাহের জানিয়েছেন,ঘূর্ণিঝড়ে গাছ পড়ে বৈদ্যভিটায় কেচিংথোয়াই(৪৫) নামক একজন গুরুতর আহত হয়েছে।লামা পৌরসভার মেয়র মোঃজহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন,লামা পৌর এলাকার বাড়ি-ঘর বিধ্বস্থ হয়েছে।গাছ-পালা উপড়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু জানান,লামায় বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।তবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘর-বাড়ি ধসে পড়ে ও গাছপালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়্যারম্যান তাসলিম ইকবাল চৌধরী জানিয়েছেন,ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে কৃষি অফিস সহকারে সদরের অসংখ্য বাড়ি-ঘর বিধ্বস্থ হয়েছে।বাইশারী ইউপি চেয়্যারম্যান মোঃআলম জানিয়েছেন,ঝড়ের তান্ডবে বাইশারী বিধ্বস্থ জনপদে পরিণত হয়েছে।আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃনায়েরুজ্জামান জানিয়েছেন,দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে।
আলীকদম উপজেলা চেয়্যারম্যান মোঃআবুল কালাম জানিয়েছেন,ঝড়ো হাওয়ার তান্ডবে আলীকদমের বিস্তীর্ণ জনপদ ও উপজেলা সদরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।