বান্দরবানের আলীকদমে অবৈধভাবে সীমান্ত পথ অতিক্রম করে চোরাই পথে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার থেকে নিয়ে আসা ২৫টি গরু ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটক করেছেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরুবা ইসলাম। তবে ঘটনার সাথে জড়িত কোন গরু চোরাকারবারিকে এসময় আটক করা যায়নি।
বুধবার (১৮ মে) বিকাল ৫ টার দিকে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ৩নং নয়াপাড়া ইউনিয়নের বাবু পাড়া জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে গরুগুলো আটক করা হয়, এসময় ২টি ট্রাকে মোট ২৫টি গরু আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতে এসময় নেতৃত্ব দেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরুবা ইসলাম। এসময় আলীকদম প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রুপম চন্দ্র মহন্ত ও আলীকদম থানার পুলিশ পরিদর্শক ফিরোজ আহমেদসহ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত একসপ্তাহে থাইল্যান্ড ও মায়ানমারের ৪৪৭টি গরু আলীকদমের দুর্গম বিভিন্ন এলাকা দিয়ে সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্নস্থানে পাচার করে চোরাকারবারীরা। গরুগুলো আলীকদমের দুর্গম পোয়ামুহুরী সীমান্ত হয়ে কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সরবরাহ করা হচ্ছে আর এমন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল থেকে চোরকারবারীদের ধরতে অভিযান শুরু করে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি টিম। পরে বিকেল ৫টায় আলীকদমের ৩নং নয়াপাড়া ইউনিয়নের বাবুপাড়া জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে গরুগুলো আটক করা হয়, এসময় ২টি ট্রাকে মোট ২৫টি গরু আটক করা হলে ও চোরাকারবারীদের কাউকে আটক করা যায়নি।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহরুবা ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ চোরাই পথে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার হতে আলীকদমের বিভিন্ন পথ ব্যবহার করে গরু পাচার করে আসছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আর এমন সংবাদ পেয়ে আজকের এই অভিযান। তিনি আরো বলেন,আটককৃত গরুগুলো এদেশের নয় এমন সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গরুগুলো আটক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে আর অবৈধভাবে আসা গরু পাচার বন্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরো জানান,আটক গরুগুলো আলীকদম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে,এই বিষয়ে একটি নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।