মোঃরফিকুল ইসলাম,বান্দরবানঃ-লামার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের মাষ্টার পাড়া এলাকায় বসতবাড়ি দখলে ব্যর্থ হয়ে দরিদ্র কৃষক পরিবারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহতরা লামা হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসা শেষে বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপ-পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আহতরা হল, আব্দু রহিম (৩৫), হাসিনা বেগম (২৫) ও সুমী আক্তার (২৫)। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুন মঙ্গলবার বিকেলে রুপসীপাড়া ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া এলাকার কোরবান আলীর ছেলে আব্দু রহিমের বাড়ি ১২/১৩ জন লোক নিয়ে দখল করতে যায় একই এলাকার জাকের মাস্টারের স্ত্রী আয়েশা বেগম, আলী হায়দারের ছেলে মো. শাহজাহান ও মৃত সালে আহাম্মদের ছেলে ফারুক। সে সময় বাড়ির মালিক রহিম বাড়িতে ছিলনা। তখন ফারুক ফোন করে রহিমকে বাড়িতে আসতে বলে। সরল বিশ্বাসে রহিম বাড়িতে এলে মো. শাহজাহান ও ফারুক দলবল নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। রহিমকে মারধর করতে থাকলে তার স্ত্রী সুমী আক্তার ও নিকট আত্মীয় হাসিনা বেগম দৌড়ে এসে তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করলে তাদেরকেও প্রচন্ড মারধর করে। এসময় হামলাকারীরা রহিমের পকেটে থাকা তামাক বিক্রির ৫০ হাজার টাকা, তার স্ত্রী সুমী আক্তারের ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং তার বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ও মালামাল ভাংচুর করে প্রায় ২৫ হাজার টাকা ক্ষতি করে বলে উল্লেখ করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় আব্দু রহিম চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে মো. শাহজাহান ও ফারুক সহ ১০/১১ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে লামা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে অভিযুক্তরাও থানা অভিযোগ করেছে বলে জানা যায় এবং ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলনা এমন লোকজনকে মিথ্যা অসুস্থ সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে অনৈতিক সুযোগ নিতে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ফারুক এর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কথা না বলে ফোন কেটে দেয়। উক্ত অভিযোগের দায়িত্বরত অফিসার লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, আব্দু রহিম ও তার পরিবার মারধর খেল এবং মামলার আসামীও হল। মো. শাহজাহান ও ফারুক লোকজন নিয়ে তাদের মারধর করেছে এবং উল্টো ক্ষতিগ্রস্থদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে। শাহজাহান ও ফারুকের সঠিক বিচার হওয়া দরকার।