বান্দরবানের লামায় ৫টি অবৈধ ইট ভাটায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১১লাখ টাকা জরিমানা করেছে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন অভিযানের নেতৃত্ব দেন।বৃহস্পতিবার (২৩ জানয়ারী) দুপুরে উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পাগলির ছড়া এলাকায় এএসবি,এমএআর, ফোরবিএম,সিবিএমওওয়াই এসবি-এঅভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান।
বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচএম সামী উল আলম কুরসি বলেন,বনাঞ্চল, পাহাড়ি এলাকা ওজন বসতি এলাকায় ইট ভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। উক্ত এলাকায় স্কুল-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।এতে লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।এছাড়া জরিমানাকৃত ইট ভাটার কোনো কাগজ পত্র নেই।অবৈধভাবে ইট ভাটাগুলো চলছিল।তিনি আরো জানান,এএসবিব্রিকসকে ১লক্ষ টাকা, এমএআর ব্রিকসকে ৩ লক্ষ টাকা,ফোর বিএম ব্রিকসকে ২লক্ষ টাকা,সিবিএম ব্রিকসকে ৩লক্ষ টাকা ওওয়াইএস বিব্রিকসকে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।এছাড়া লামা উপজেলার আরও ৩২টি ইট ভাটা কোনো ধরনের নিয়ম-নীতি না মেনেই চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সে সব ইট ভাটায় পর্যায় ক্রমে অভিযান চালানো হবে।
নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে ধ্বংসকৃত একটি ইট ভাটার মালিক বলেন, ফাইতং ইউনিয়নের মূল অংশে আরো ২৩টি ইট ভাটাসহ উপজেলায় মোট ইট ভাটার সংখ্যা ৩৭টি। শুধু ৫টি ইট ভাটায় অভিযান চালানোর বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা ইট ভাটার লাইসেন্স নবায়ণের জন্য দরখাস্ত করি।কিন্তু আমাদের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে কোনো ধরনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।এছাড়া অভিযানের আগে আমাকে কোনো ধরনের নোটিশও দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন ও সামশুল আলম বলেন, “ইট ভাটার কারণে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো। বিশেষ করে পরিবেশের অনেক ক্ষতি হতো। অতিরিক্ত ধূলা বালির কারণে আমাদের চলাফেরায় সমস্যা হতো।ইট ভাটাটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের উপকার হয়েছে।”
অভিযানকালে ৫টি ইটভাটার চূলায় পানি দিয়ে নষ্ট করা হয়। এছাড়া স্কেভেটর দিয়ে কাঁচা ও পোড়া ইট নষ্ট করা হয়েছে।
এসময় র্যাব-১৫, ফায়ার সার্ভিস ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।