স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক জেনে যাওয়ার কারনে বলি হলো স্বামী মো.সুজন হোসেন (২৮) এর জীবন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ শে জুলাই বান্দরবানের লামা উপজেলায়।লামার আলোচিত সুজন হত্যাকান্ডের বিষয়ে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন সুজন হত্যা কান্ডের অগ্রগতির বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং এ মিলিত হোন।
এসময় তিনি জানান গত ২৩ জুলাই লামার মাতামুহুরী নদীতে একটি বিকৃত লাশ পাওয়া যায়।লাশটি পাওয়ার পর এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যাকান্ড এ বিষয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।পরে লাশটি সনাক্তের জন্য করা হয় মাইকিং।এক পর্যায়ে ভিকটিমের লাশটি সনাক্ত করে তার স্ত্রী নুর বানু।পরে আইনগত পক্রিয়া শেষ করে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরে নিহত মোঃ সুজন এর ভাই মো.শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে লামা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।মামলা রুজু হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে।তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং গোপন সোর্স নিয়োগ করে পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং আসামীদের সনাক্তের জন্য ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে।
প্রেস ব্রিফিং কালে জেলা পুলিশ সুপার জানান স্বামী নিখোঁজের পরেও থানায় কোন মামলা বা খোঁজখবর না নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করায় পুলিশের সন্দেহ হয় স্ত্রী নুর বানুর উপর।পুলিশ তদন্তের সময় জানতে পারে নিহত মো.সুজনের স্ত্রী নুর বানুর সাথে অবৈধ পরকিয়া সম্পর্কে জড়িত ছিলো মো.হানিফ।বিষয়টি স্বামী মো.সুজন জেনে ফেলায় স্ত্রী নুর বানু ও প্রেমিক মো.হানিফ মিলে সুজন কে হত্যা করে রাতের অন্ধকারে লাশটি নদীতে ফেলে দেয় পরবর্তীতে থানায়া পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী নুর বানু স্বীকার করে পরকিয়া সম্পর্কের ব্যাপারে জেনে যাওয়ার কারনে সে ও হানিফ মিলে স্বামী মো.সুজনকে হত্যা করে।
প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমিক মো.হানিফ এবং স্ত্রী নুর বানু সহ ২ জন আসামী গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।প্রেস ব্রিফিং এ এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) হোসাইন মো.রায়হান কাজেমি,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.শাহ আলম,সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো.সালাউদ্দিনসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।