মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা নিয়েই লামার ফাইতংয়ে খুন করা হয় পেশাদার মোটর সাইকেল চালক মমিনুল ইসলামকে। পরে সেখানেই লাশ ফেলে রেখে মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এমনই স্বীকারোক্তি দিয়েছে এই ঘটনায় জড়িত কিশোর মো. আব্দুল্লাহ (১৬)। র্যাব-১৫ এর মিডিয়া এন্ড অপারেশনস্ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী গণমাধ্যমকে এই খবর জানান।
এরআগে মঙ্গলবার (২৫ মে) দিনগত রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরের বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ চকরিয়া হারবাং নোনাছড়ি এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গত ২১ মে লামা উপজেলার ফাইতংয়ের অলিকাটা নামক স্থানের এক লেবু বাগানের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় চকরিয়ার বড়ইতলী এলাকার বাসিন্দা ও পেশাদার মোটর সাইকেল চালক মমিনুল ইসলামের অর্ধগলিত লাশ। এই ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। প্রযুক্তির ব্যবহারে ঘটনার মাত্র ৫দিনের মাথায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয় আব্দুল্লাহ নামক এই কিশোর। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনা স্বীকার করে। একই সঙ্গে জানিয়েছে তার অপর সহযোগিদের নাম।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল্লাহ জানায়, সে ছাড়াও এই খুনে চকরিয়া নোনাছড়ি হারবাং এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. কায়সার (১৮) ও ইলয়াসের ছেলে আব্দুর রহিম অংশ নেয়।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গত ১৮মে মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা নিয়েই এদিন তিন বন্ধু আব্দুল্লাহ, কায়সার ও আব্দুর রহিম হারবাংয়ের নোনাছড়ির একটি চা দোকানে একত্রি হয়। সেখান থেকে স্টিলের একটি চাকু সংগ্রহ করে তারা। পরে পূর্বপরিচিত মোটর সাইকেল চালক মমিনুলকে লামার ফাইতংয়ে একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে ভাড়ায় ঠিক করে। এই রাত সাড়ে নয়টার সময় ওই মোটর সাইকেলের পেছনে করে তিন বন্ধু নোনাছড়ি সুইচ গেইট এলাকা থেকে ফাইতংয়ের কথিত বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে ফাইতংয়ের অলিকাটা নামক স্থানে যেতেই আব্দুর রহিম প্রস্রাবের অযুহাতে মোটর সাইকেল থামায় এবং তিনজনে মিলে চালক মমিনুল ইসলামের গলা কেটে হত্যা করে।