বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে গোলাগুলির ঘটনায় নিহত ৮ জনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান সদর হাসপাতাল হতে বম সোসিয়াল কাউন্সিলের সভাপতি লাল জার লম বম মরদেহগুলো গ্রহণ করেন।মরদেহগুলো হল-জুবরাং পাড়া এলাকার লাল ঠাজার বম,সাংখুম বম,বয়রেম রোয়াত বম,সানপির থাং বম,ভানদুহ বম,লাল লিয়ান ঙাক বম,রনিন পাড়া এলাকার বম রাং থাম ও পাইংক্ষ্যং পাড়া এলাকার জেইহিম বম।বম সোশ্যাল কাউন্সিলের (বিএসসি) সভাপতি লালজার লম বম নিহতদের এই পরিচয় নিশ্চিত করেন।স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,গত ৬ এপ্রিল রোয়াংছড়ি’র খামতাং পাড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।এসময় জীবন বাঁচাতে স্থানীয়রা পার্শ্ববর্তী রুমা উপজেলা ও রোয়াংছড়ি সদরে পালিয়ে যায়।পর দিন শুক্রবার সকালে উপজেলার খামতাং পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকার পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ছড়ানো ছিটানোভাবে গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ঘটনাস্থল হতে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান হাসপাতালে পাঠায়।পরে দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের (বিএসসি) সভাপতি লালজার লম বমের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ।
স্থানীয়রা আরও জানায়,নিহতদের মধ্যে লাল ঠাজার বম,জুবারাং পাড়া এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি হিসেবে কাজ করতেন।সাংখুম বম জুবরাং পাড়া চার্চের এক্সিকিউটিভ সদস্য, বয়রেম রোয়াত বম পটিয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি পশিক্ষার্থী,সানপির থাং বম রুমা সাঙ্গু কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।নিহতের মরদেহগুলো জুবরাং পাড়া ও পাইংক্ষ্যং পাড়ায় সমাধিস্থ করা হবে বলে জানান ‘বম সোশ্যাল কাউন্সিলর’ (বিএসসি) সভাপতি লাল জার লম বম।
রোয়াংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খামতাং পাড়া এলাকা হতে উদ্ধার করা গুলিবিদ্ধ ৮ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে সৎকারের জন্য ‘বম সোশ্যাল কাউন্সিলের’ (বিএসসি) সভাপতি লাল জার লম বমের কাছে হস্থান্তর করা হয়ছে।তিনি আরও বলেন,এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বা তাদের সঙ্গে আলোচনা স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি উবামং মারমা তাদের দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে বলেন,ইউপিডিএফ একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল,তাদের দলে কোনো সশস্ত্র গ্রুপ নেই।তারা ১৯৯৭ সালে সরকারের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করছেন।কুকিচিনের ৮জন নিহতের ঘটনা ইউপিডিএফ কোনো মতেই জড়িত নয়।কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) নিজেদের আন্তকোন্দলের কারণে ৮জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।