বান্দরবানের বিভিন্ন সড়কে ভয়াবহ ভাঙ্গন,প্রায় ২৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি


সিএইচটি টাইমস অনলাইন প্রকাশের সময় :১৬ জুলাই, ২০১৯ ৫:১৩ : অপরাহ্ণ 737 Views

পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের রুমা ও থানচি সড়কের বিভিন্ন যায়গা ভয়াবহভাবে ধসে পড়েছে।এগারো দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে রুমা থানচি-সড়কের দৌলিয়ান পাড়া,হিমাক্রী,৯ মাইল,১২ মাইল,কৈক্ষংঝিড়ি নামক স্থানের বেশকিছু অংশ সহ গত এক সপ্তাহে জেলার ৩৬টি জায়গায় প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক পুরোপুরি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সজিব আহমেদ জানান,থানচি-আলীকদম সড়কের ২২ কিলোমিটার এবং ওয়াইজংশন থেকে রুমা সড়কের ১৬ কিলোমিটার অংশের রাস্তা পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেছে।বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট পয়েন্টে সড়কের শোল্ডার (রাস্তার দু’পাশের অংশ) ভেঙ্গে গেছে।যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার।এসব সড়ক মেরামত করতে ২২ থেকে ২৫ কোটি টাকার প্রয়োজন হতে পারে।বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের যে চারটি জায়গায় পানি জমে প্রতি বছর যাতায়াত ব্যাহত হয়,সে জায়গাগুলোতে সড়ক মেরামত ও উঁচু করার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৫ কোটি টাকা,যা এ বছর একনেকে পাস হয়েছে।এই কাজটি বাস্তবায়ন করবে সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবি।বান্দরবান বাসস্টেশন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়ার বড়দুয়ারা,দস্তিদারহাট,কলঘর এই চারটি স্থানে সড়ক মেরামত ও উঁচু করার কাজ এই বর্ষার পরপরই শুরু হবে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।রাস্তা ধসে পরায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত গত পাঁচদিন ধরে বান্দরবান-থানচি-রুমা সড়কে যান যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।ধসে যাওয়া সড়কের বিভিন্ন অংশ পার হতে গিয়ে মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।সাঙ্গু নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় অন্তত ৮ দিন ধরে রুমা ও থানচির সাথে নৌ যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।সড়ক মেরামত হলে বাস চলাচল চালু হবে বলে জানান,বাস মালিক সমিতি।যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় দুই উপজেলার মানুষের জীবনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই দুই উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা।রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল আলম জানান,বান্দরবান-রুমা-থানচি সড়কের বেশ কিছু যায়গায় বৃষ্টির কারণে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।মঙ্গলবার এসব সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হবে।বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।এদিকে রবিবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বান্দরবানের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে।নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নেমে গেছে।বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া দুর্গত মানুষ ধীরে ধীরে নিজ নিজ বাড়ী ঘরে ফিরে যেতে শুরু করেছে।তবে পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো কয়েক দিন লেগে যেতে পারে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!